আপন সরদার (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিন্ডিকেট মুর্দাবাদ, কৃষক জনতা জিন্দাবাদ” এই স্লোগানে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং ন্যায্যমূল্যে ক্রেতাদের হাতে সবজি পৌছে দিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পন্য বিক্রি শুরু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। অল্প দামে সবজি পেয়ে খুশি ভোক্তারাও। রবিবার (৩নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা গেটের সামনে আলু,টমেটো, ঢেরশ,কাচা মরিচ, দুন্দুল,করলা, শষা,লাউ সহ ২২ ধরনের সবজির পসরা সাজিয়ে রেখেছে ছাত্ররা। সেখান থেকে পছন্দমতো সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ভোক্তারা। প্রতি কেজি টমেটো বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে ১৮০-২০০ টাকা কেজি একই টমেটো ছাত্ররা বিক্রি করছেন ১৪০ টাকা। বাজারে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা সেখানে ছাত্ররা বিক্রি করছেন ৫৩ টাকা। এছাড়াও ছাত্রদের স্টলে প্রতি পিছ লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪৫,ঝিঙ্গা ৪০,ধুন্দুল ৪৫,বেগুন ৫০,লাল,শাক ৩০,ফুল কপি ৪৫,পাতা,কপি ৫০,লতি ৫৫,কাচা মরিচ ১৪০,সিম ১১০,ধনিয়া পাতা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকলিমা বেগম নামের এক ক্রেতা ছাত্রদের এমন উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাজারে প্রতিটি সবজি ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি বিক্রি হয়। এখানে ন্যায্য মূল্যে সবজি পেয়ে আমরা খুশি তবে প্রশাসনের সহায়তায় বাজারেও দাম কমালে সাধারণ মানুষ খুশি হবে। মিনহাজ নামের এক ক্রেতা জানান, আমাদের হাসাইল বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয় ২০০ টাকা কেজি আর ছাত্ররা সেই টমেটো বিক্রি করছে মাত্র ১৪০ টাকা ধরে। এক কেজি টমেটোতে তে যদি ৬০ টাকা লাভ করে তাহলে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। তিনি আরো বলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন ছাত্রদের নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামলে হয়তো দ্রুত সময়ের মধ্যেই সিণ্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি জাহিদ হাসান জানান, বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে গত শুক্রবার (পহেলা নভেম্বর) থেকে টঙ্গীবাড়িতে ছাত্রজনতা সরাসরি কৃষকের থেকে সবজি ক্রয় করে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে মাঠে নেমেছে। শুধু পরিবহন খরচ রেখে বিনা লাভে আমাদের এই কার্যক্রম চলছে। যেই পর্যন্ত বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত না হবে সেই পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় ছাত্র জনতা প্রতিনিধি ইমরান আরিফিন,আজিম আহমেদ সিফাত, আবু বক্কর,মো: ফয়সাল, মো: বিনয়,শাহরিয়ার,মো: আতিক প্রমুখ।