বিশেষ প্রতিনিধিঃ এই বাঁচার আর্তনাদটি সৌদি আরবের মাটি থেকে লতা (৩০) নামের এক বাংলাদেশি গৃহকর্মীর। লতাকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সৌদি আরব পাঠিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স উদয়ন কর্পোরেশন (আরএল-১০৩১) ও দালাল সোহাগ মিয়া। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই নিয়োগকর্তা কতৃক শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন বলে জানিয়েছেন লতার স্বামী ওমর ফারুক, লতা তার প্রেরিত এক অডিও বার্তাতেও জীবন বাঁচার আর্তনাদ করেছেন। এমন অভিযোগ নিয়ে লতার স্বামী ওমর ফারুক গত বৃহস্পতিবার তার দুই মেয়ে জান্নাতুল নাইমা (১১) ও তাহিয়া আক্তার (৯)কে নিয়ে আসেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ইনফরমেশন সেন্টারে। ফারুক এমনও বলেছেন- “লতা নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা করতে পারেন। রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স উদয়ন কর্পোরেশন অফিসে গিয়ে লতার নির্যাতনের কথা জানানোর পরেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি, বরং তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছেন।”