ঢাকাবুধবার , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ খবর

রাবিতে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার


ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫ ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাবি প্রতিনিধি:   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ ও বিভিন্ন আবাসিক হলে পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আরএমপির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তি বিষয়টি জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষার্থীর নাম মো. ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো. মজিবর রহমানের ছেলে।গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র। ঘটনার পরে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যায় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে বলে জানায় আরএমপি।গত ১২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখ্শ হল, মতিহার হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআন শরীফের এরূপ অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় একটি মামলা রুজু করে।এতে আরও বলা হয়েছে, মামলা রুজু পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নির্দেশনায় আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশের পাশাপাশি আরএমপি সিটিটিসি এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটি চৌকস টিম মামলাটির তদন্ত কার্য শুরু করে।তদন্তকার্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।এরপর আরএমপি সিটিটিটি বিভাগ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সমন্বিত অভিযানিক দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)-এর সহায়তায় ফেরদৌস রহমানকে ময়মনসিংহের ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ফেরদৌস রহমান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে। অভিযুক্ত ফরিদের বক্তব্যসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ ঘটনার তদন্ত কমিটি অসাধারণ কাজ করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের, যাদের সহযোগিতা ছাড়া ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার ভেতর আমাদের তদন্ত কমিটি সন্দেহভাজন শনাক্ত করতে পারত না। অসংখ্য ধন্যবাদ পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে যারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।