স্বপন রবি দাশ, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বুল্লা শাহ বায়েজিদ রহঃ মাজার সংলগ্ন সুতাং নদীর কেয়া ঘাট দীর্ঘদিন ধরে রবি দাশ সম্প্রদায় পরিচালনা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
রবি দাশ সম্প্রদায় দাবী দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কেয়া ঘাট চালিয়ে আমাদের ঘর সংসার চলে,আমরা গরীব অসহায় ও নিরীহ লোক,আমাদের আর কিছু নাই, শুধু ভিটে বাড়ি ছাড়া। আমরা কোথায় যাব কার কাছে যাব আমাদের থাকার মতো কোনো জায়গা নেই তাই আমাদের প্রশাসন সহ সমাজের সবার কাছে বিচার চাই এবং কেয়া ঘাট পরিচালনা করে পরিবার পরিজন কে নিয়ে বাঁচতে চায়- কান্না কন্ঠে জানান আবু লাল রবি দাশ। রবি দাশ সম্প্রদায় কাছ থেকে কেয়া ঘাট দখল করে নিতে চাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্রমহল।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়,বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের পর থেকে এই রবি দাশ সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০/৪০ জন মানুষ জীবীকা নির্বাহ করে আসছে কেয়া ঘাট পরিচালনা করে। গত ২৯-০৯-২২ ইং তারিখে ৬নং বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় বুল্লা শাহ বায়েজিদ রহঃ মাজার সংলগ্ন সুতাং নদীর কেয়া ঘাট রবি দাশ সম্প্রদায়কে রেজুলেশনের মাধ্যমে পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সূত্রে জানা যায় কিছু দিন আগে পূর্ব বুল্লা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি রবি দাশ সম্প্রদায়ের লোকজন কে কেয়া ঘাট থেকে বিতারিত করার চেষ্টা করে।আবু লাল রবি দাশ জানান এই কেয়া ঘাট চালিয়েই আমাদের ছেলে- মেয়েদেরকে নিয়ে ঘর সংসার চালায়।গিয়াস উদ্দিন নামে একজন কাগজ দেখাইয়া আমাদেরকে কেয়া ঘাট থেকে উঠাইয়া দিতে চায়,আমরা গরীব অসহায় ও নিরীহ লোক,আমাদের আর কিছু নাই, শুধু ভিটে বাড়ী ছাড়া।আমরা প্রশাসন সহ সমাজের সবার কাছে বিচার চাই এবং কেয়া ঘাট ফেরত চায়।
গিয়াস উদ্দিন জানান, গত ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১ বছরের জন্য আমি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে কাগজ আনছি। বুল্লার ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নিজাম উদ্দিন সুজন জানান, দীর্ঘদিন যাবত রবি দাশ সম্প্রদায় সুতাং নদীর কেয়া ঘাট পরিচালনা করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছে, আবার বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে রেজুলেশন আকারে রবি দাশ সম্প্রদায় কে কেয়া ঘাট দেওয়া হয়। ০৬নং বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ জানান গত ২৯-০৯-২২ ইং তারিখের মাসিক সাধারণ সভায় সকল সদস্য ও মহিলা সদস্যদের উপস্থিতিতে রেজুলেশন আকারে রবি দাশ সম্প্রদায়কে সুতাং নদীর কেয়া ঘাট দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার দুই পক্ষকে লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা সুলতানা মহোদয় ঢেকে দুই পক্ষের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী দুই পক্ষ উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানান তিনি।লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা সুলতানা জানান দুই পক্ষ কে ডেকে এনে বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সামনে উভয় পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে এবং আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে।