জেলা প্রতিনিধি: পবিত্র কোরআনের ৩০ পারার হাফেজ স্বামী মফিজুর রহমানের বলির শিকার হলেন স্ত্রী হেনা খাতুন। ঘটনাটি ৫ বছর আগে ঘটেছিল মাগুরা জেলার খদ্দ পাকা গ্রামে। তারপর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী মফিজুর রহমান পলাতক রয়েছে। নিহত হেনার পরিবার ও তার প্রতিবেশীদের অভিযোগ করে বলেন, মাগুরা সদর উপজেলার খদ্দর পাকা গ্রামের মৃত রমজান বিশ্বাসের ছেলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার হুদা গোপালপুর গ্রামের কাবিল মুন্সির মেয়ে হেনা খাতুনের সাথে। বিয়ের পর থেকেই হেনাকে তার নিজ বাড়িতে নিতে রাজি ছিল না স্বামী মফিজুর। কিন্তু হেনা স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে অবশেষে রাজি হয় স্বামী মফিজুর।অবশেষে হেনা ও তার পরিবারের চাপে গত ২০ সালের সেপ্টেম্বরে মাসের ০৬ তারিখে হেনা কে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয় তার স্বামী। কিন্তু পথিমধ্যেই নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় প্লাস্টিকের রশি পেঁচিয়ে চাচু দিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয় হেনাকে। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত আত্মগোপনে রয়েছে তার স্বামী মফিজুর।
বিষয়টি নিয়ে মাগুরা সদর থানায় মফিজুরকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেছে হেনার ভাই।সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর জয়নুল আবেদীন। বিষয়টি নিয়ে তার সাথে ভুক্তভোগী পরিবারের কোন প্রকার যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছেনা। তবে বর্তমানে মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আইয়ুব ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
ঘটনাটির ০৫ বছর পেড়িয়ে গেলেও আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের আওতায় আনার কোন ভূমিকায় পাওয়া যাচ্ছেনা। অভিযুক্ত আসামীকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবি হেনার পরিবার ওপ্রতিবেশীদের।