নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেছেন, হাসিনা দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভ তারা নড়েবড়ে করে দিয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ, বিচার ব্যাবস্থা, অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সবটাকেই দেশটাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আর এই নড়েবড়ে রাষ্ট্রকে মজবুত ভীতের উপর দাড় করাতেই তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচী দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অনেকেই আছেন যারা অন্ধকারে শিকার করার জন্য দেশে নানান রকমের পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এই সকল অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।
শনিবার রাজধানীর সারুলিয়া গরুর হাট প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরা থানা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
কর্মশালায় ৩১ দফা বিষয়ে বিশদ বিশ্লেষন করেন বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দীন আহমেদ ও আলহাজ্ব নবী উল্লাহ নবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, হারুন উর রশীদ হারুন, আ.ন.ম. সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, এসকে সিকান্দার কাদির, ফরহাদ হোসেন, বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন, যুবদল সভাপতি খন্দকার এনামুল হক, কৃষকদল নেতা মীর কামাল তাপসসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, আজ মুখোশধারীরা বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আপনারা সতর্ক থাকবেন। কোন পাতা ফাঁদে পা দিবেন না।
বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, কিন্তু একটি গণতান্ত্রিক সরকার আমরা কিন্তু এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। আমরা এখনো ভোটের অধিকার, আমি আমার ভোট দিবো, আমি আমার পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবো সেটা আমরা এখনো করতে পারি নাই। এখনো অনেক ষড়যন্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে হচ্ছে, দেশের বিরুদ্ধে হচ্ছে। নির্বাচন দিলে হয়তো বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এটা অনেকে সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
তিনি বলেন, যত আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি প্রথমে ছাত্রদের দিয়ে শুরু হয়, এরপর জনগন এর সমন্বয়ে গণআন্দোললেনর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হয়।
বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারেক রহমান যদি দিক-নির্দেশনা না দিতেন তাহলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হতো না। অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, অনেক নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অনেক নেতাকর্মী এখনো আহত আছেন, এখনো তাদের সুচিকিৎসা হয়নি, এখন পর্যন্ত আমরা ঐ শহীদদের মর্যাদা দিতে পারি নাই। আমাদের অনেক কাজ বাকী আছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমরা কোন সন্ত্রাসী, নৈরাজ্যকারী, চাদাবাজের কাছে মাথানত করবো না। যারা সন্ত্রাসের সাথে জড়িত, যারা চাদাবাজের সাথে জড়িত, তাদের স্পষ্টভাবে হুশিয়ার করে বলতে চাই এখনো সময় আছে এগুলো বন্ধ করুন। তানা হলে আপনাদের ব্যবস্থা আমাদের নেতা তারেক রহমান করবে।