লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছেন। অতি শ্রীঘ্রই নির্বাচন দিতে হবে এবং তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন, তিনি এই দাবিটাই করেছেন। এই দাবি করা খুবই যৌক্তিক। দেশের সাধারণ মানুষ এই নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন-সংগ্রাম ও লড়াই করেছেন। সরকারে যারা আছেন তাদের শোনার মনমানসিকতা থাকতে হবে। কথাগুলো যদি না শোনেন, উপলব্ধি যদি না করেন এবং যদি বিএনপি মহাসচিব সম্পর্কে একটা কাউন্টার তৈরি হয়, এটা কিন্তু ঠিক হবে না। এটা জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল হয়ে যেতে পারে। কারণ এ বিতর্ক পলাতক ফ্যাসিবাদের জন্য একটা সুযোগ করে দিতে পারে। এই সুযোগ দেওয়া যাবে না।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনু্ষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৫-১৬ বছর আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম ছিল। সর্বশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দেশে স্বাভাবিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। এ সরকারকে আমরা সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করছি এবং করব। সরকারের কাছে আমাদের অনেক বেশি প্রত্যাশা ও দাবি আছে। সবগুলো যে তারা মানতে পারবেন তা আমরা মনে করি না। কিছু যৌক্তিক দাবি আছে, সেটা তারা চেষ্টা করবেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, দেশে স্বাভাবিক সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, এ প্রজন্ম ও দেশবাসীর জন্য একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে। লক্ষ্যই হচ্ছে একটি সুন্দর বাংলাদেশ আমরা গড়ব। সেজন্য আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার ও আমরা বাইরে যারা আছি নির্বাচনকে নিয়ে সবাইকে একটি ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। এটি দীর্ঘদিনের ডিমান্ড। সুতরাং এখানে নির্বাচনকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। পলাতক ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দেব, এ ধরণের বিতর্ক আর যেন না হয়। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবাইকে অনুরোধ করব- গোল টেবিল আলোচনা হতে পারে। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এই সুযোগটা আপনাদেরকেই তৈরি করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে আপনারা ডাকবেন আলোচনার টেবিলে, এটার সমাধান খুবই জরুরি। একটা যৌক্তিক সময় যুগোপযোগী নির্বাচন দিতে হবে এবং তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম মামুনের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক খোদেজা খাতুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদার হোসেন, বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন ফারুক, জমির উদ্দিন চৌধুরী সঞ্জু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুদ্দিন চৌধুরী মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা কৃষক দলের সহ-সভাপতি বদরুল ইসলাম শ্যামল, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান অভি ও সদস্য সচিব মাইনুল হাসান শাওন প্রমুখ।