ঢাকাসোমবার , ১ জুলাই ২০২৪
আজকের সর্বশেষ খবর

‘অল্প সময়ে বেশি বিষ ঢেলে দেয় রাসেলস ভাইপার’


জুলাই ১, ২০২৪ ১১:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : অল্প সময়ে বেশি বিষ দেয় রাসেলস ভাইপার। এই সাপ ডিম দেয় না তবে বাচ্চা দেয়। বাচ্চা বড় হতে ৬-৭ মাস সময় লাগে। প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে বাচ্চা দেয়। রাসেল ভাইপার ৪০ মিলি গ্রাম বিষ দিলে সেই মানুষ মারা যাবে। তবে তাদের শরীরে সর্বোচ্চ ২০০-২৫০ মিলি পর্যন্ত বিষ থাকে। লক্ষ্মীপুরে রাসেলস ভাইপার নিয়ে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশব্যাপী বহুল আলোচিত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রঘোড়া) সাপের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের যৌথ আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন, বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানা উল্যা পাটওয়ারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবি সিদ্দিক, সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মেদ কবির, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসে স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার, জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ প্রমুখ।সভায় বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানা উল্যা পাটওয়ারী জানান, পৃথিবীতে ৪ হাজার ৭৩ প্রজাতির সাপ আছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ সাপ বিষধর। বাকী ৮০ শতাংশ সাপ বিষধর নয়। বিশ্বে বছরে ৬-৭ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। আক্রান্ত হয় ৪-৬ লাখ মানুষ। তবে অনেকে না জেনে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ মেরে ফেলছে। তাই কোন সাপ বিষধর তা জানা এবং কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতাল অথবা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিলে রোগী দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেরি হলে অনেক সাপে আক্রান্ত রোগীর মারা যেতে পারে।বাংলাদেশে ১১৯ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক ১৬ প্রজাতির সাপ বিষধর। মূলত যেসব সাপ কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয় সেইগুলো বিষধর। আর যারা খাবার খাওয়ার সময় প্যাচ দিয়ে থাকে তারা বিষধর না। দেশে গোখরা, কেউটে, চন্দ্রঘোড়া (রাসেলস ভাইপার), সবুজ ঘোড়া, সামুদ্রিক সাপ বিষধর। দেশের রাজশাহীসহ অনেক জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ আছে। ২০১৫ সালের গবেষণা অনুযায়ী লাল তালিকার রাসেলস ভাইপার সংকটাপন্ন।এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।