সটাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চরআবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন মঞ্জুরের ষড়যন্ত্রের পাঁচ নিরীহ পরিবার।
তার ষড়যন্ত্রর কব্জায় পড়ে দিনের পর দিন নিঃস্ব জীবন যাপন করছেন। এমন ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ ও স্হানীয়দের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী কৃষক শেখ ফরিদ জানান, আমি নোমান চৌকিদার থেকে আামার পাওনা টাকা চাইলে সে চেয়ারম্যানের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে টাকা না দিয়ে উল্টো নানাভাবে রেখেছে হুমকিতে। চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্র যে কোন মামলায় প্রথমে তাদের নাম। সে কামাল চেয়ারম্যান সেকেন্ড ইন কমান্ডার।
চৌকিদারের আড়ালে সে চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি সেজে মানুষের বরাদ্ধে সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা ও মেঘনা নদী থেকে জেগে উঠা সরকারী জমি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নগদ টাকায় বিক্রি করে। অবৈধ সে টাকা জমে মঞ্জুু চেয়ারম্যানের পকেটে! এভাবে চলছে চরআবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম। তার ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। চরগজারিয়ার শত শত নিরীহ পরিবার নোমান চৌকিদারে ক্ষমতার দাপটে অস্হির।
কামাল চেয়ারম্যানের এমন ষড়যন্ত্রের শিকার মোঃ ইসমাইল মাঝির ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ খোকন, জেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম মাঝি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুল মতিন ও ফয়ছাল আহমদ।
খোকন জানান, সাধারণ মানুষ মারধরের শিকার হয় কামাল চেয়ারম্যান ও চৌকিদার নোমানের হাতে। কিন্তু সে দায়ভার ও অপপ্রচার হয় আমার নামে। আমরা চেয়ারম্যানের বিপক্ষে বর্তমান এমপি আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে ভোট করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করেন নোমান চৌকিদার বলেন, আমি বর্তমানে অসুস্থ। চেয়ারম্যান মাঝে মধ্যে চরগজারিয়া ভোট অফিসে আসেন। এখানকার ভালোমন্দ বিষয় আমিই ওনাকে (চেয়ারম্যানকে) জানাই।
চরআবদুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল মঞ্জুর বলেন, আমার সাথে এসকল লোকজনের সাথে কোন ঝগড়া নাই। তারা ভোট করেছে স্হানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ আজাদ হোসেন, আমি ফাইল দেখে বলতে পারবো। সাধারণ মানুষের সাথে এধরণের ষড়যন্ত্র কখনোই কাম্য নহে।