ফরিদপুর-৩ আসনের কৈজুরী ইউনিয়নের লস্করকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা সমর্থকদের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দ্রের ১নং বুথে এ ঘটনা ঘটে। কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওহাব ফকিরের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী দলবেঁধে বুথে প্রবেশ করে নৌকা প্রতীকে প্রায় ৮ থেকে ১০টি জাল ভোট দেন। খবর পেয়ে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মো. খালিদ হোসেন এসে নেতাকর্মীদের বুথ থেকে বের করে দেন।
৭৫নং লস্করকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি কৈজুরী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই কেন্দ্রে ২৬৩০ ভোট রয়েছে। বেলা ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ৩৬৫ ভোট কাস্ট হয়েছে।
জাল ভোটের বিষয়ে প্রিজাইটিং অফিসার মো. খালিদ হাসান বলেন, ভোট কাটার বিষয়টি আমি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ওই বুথে যাই। পরে তারা আমাকে দেখে বের হয়ে যায়। তবে যারা ভোট কেটেছে তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি। পরিচয় জানতে পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকের প্রধান এজেন্ট মো. কামরুল ইসলাম বলেন, তারা বুথের দরজায় দাঁড়িয়ে ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। কাউকে কাউকে শাসিয়ে বলা হচ্ছে নৌকায় ভোট না দিলে খবর আছে।
ভোট দিয়ে ছবি তুলে আনতে বলছে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছে। বলছে তুই বের হবি না তখন তোকে ঝাল বোঝাবো। আমাদের কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তারা প্রিজাইডিং অফিসারকেও মানছেন না।
জাল ভোট দেয়ার তথ্য পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ কেন্দ্রটিতে ছুটে আসেন। পরে নৌকা সমর্থকেরা সকলে সতর্ক হয়ে যান। একে আজাদ মানবজমিনকে বলেন, আমি জানতে পেরেছি এই কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া হচ্ছে। তারা ২০ থেকে ২৫টি জাল ভোট দিয়েছে। তবে শুধু এই কেন্দ্র নয় আরও অনেকগুলো কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ভোটারদের বাঁধা দেয়া হচ্ছে। এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। আমি এই বিষয়গুলো জেলা রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি। দেখা যাক তিনি কি ব্যবস্থা নেন।
জানতে চেয়ে ওহাব ফকিরকে কেন্দ্রে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।