শহিদুল ইসলাম শহীদ , সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস বারী’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও শহীদ এমপি মন্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতি, সহ- সভাপতি সাজেদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজাউল আলম রেজা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান লিটু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল, শ্রমিক লীগের সভাপতি গনেশ শীল ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রতন মিয়া, সুমন মিয়া ও পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক খন্দকার মাইদুল ইসলাম সহ প্রমুখ।
এসময় লেবু
বলেন , ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমাদের এই দেশের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে । মহান একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই আমরা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, লাল সবুজের পতাকা আর আত্মপরিচয়ের অধিকার অর্জন করেছি। তাই গৌরবময় প্রেরণায় মহিমান্বিত আর চেতনা শানিত করার শক্তি হলো মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান রয়েছে৷ তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক ভাষা সৈনিক সহ গ্রেফতার হন। ভাষা আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনে রূপদান করতে তিনি দেশব্যাপী সফরসূচি তৈরি করে ব্যাপক প্রচারনায় অংশগ্রহণ করেন এবং সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব-বাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের বাজেট অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত ছিল। সেদিন শেখ মুজিবের পরামর্শ ও নির্দেশ অনুযায়ী সারাদেশে সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করে এবং পুলিশ নির্বিচারে মিছিলে গুলি চালালে কতগুলো তাজা প্রাণ নিমিষেই ঝরে যায়, অনেকে আহত হন, অনেকে গ্রেফতার হন। তিনি আরও বলেন, বাঙালির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি তথা যা কিছু মহান সবকিছুতেই একুশের চেতনা বিদ্যমান। বাঙালি জাতিসত্বা বিকাশে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।
এর আগে, সকালে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন,পুষ্পমাল্য অর্পণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা-দলীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন।