কমলনগর উপজেলা পরিষদের সামনে,হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমীর সামনে,করইতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটের সামনে, তোরাবগঞ্জ বাজার, লরেঞ্চ বাজার, করুনানগর বাজার, মতিরহাট বাজার পূর্ব মাথায় সড়কের পাশে নির্মিত ৭ টি যাত্রী ছাউনিই প্রভাবশালী মহল দখল করে রেখেছে । দখলকৃত ৭টি যাত্রী ছাউনির ৪টি জেলা পরিষদ,৩টি সড়ক ও জনপদ ভিবাগ কর্তৃক নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি-কমলনগর উপজেলা থেকে লক্ষ্মীপুর, ঢাকা, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, হাজিগঞ্জ, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষজন প্রতিনিয়ত যাত্রীবাহী পরিবহন সানফ্লাওয়ার, আল-সৈয়দ,বৈশাখী,হিমাচল, নীলাচল,মৌসুমি ও জননী পরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহনে যাতায়ত করে। ঝর বৃষ্টি -রোধের প্রকোপ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে এসব ছাউনিগুলো যাত্রীদের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হলেও যাত্রী সাধারণের কোন কাজেই আসছেনা। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে পরিবহনের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
এসব যাত্রী ছাউনিগুলোতে যাত্রীদের অবস্থান করার কথা থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে সবকটি ছাউনিই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এগুলো বেশির ভাগই দখল করে রেখেছেন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ।
উপজেলার করইতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইটের সামনে ও লরেন্স বাজার ভোট অফিস গেইটের যাত্রী-ছাউনি দুটোতে চলছে জমজমাট কেনা-বেচা। আবার দখলদার বিভিন্ন লোকদের নিকট দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
এ সকল জন গুরুত্বপুর ছাউনি গুলো এখনো জেলা পরিষদ সহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তৃপক্ষ উদ্ধারের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি । এবং উপজেলা ও থানা প্রশাসনও যাত্রী ছাউনিগুলো দখলমুক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যাত্রীরা প্রখর রোদ ও ঝড়-বৃষ্টিতে চা দোকান, সড়কের পাশে, ফুটপাতে যানবাহনের অপেক্ষায় প্রতিনিয়ত দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ফলে যাত্রী ও জনসাধারণের কোন কাজে আসছেনা নির্মিত এসব যাত্রী ছাউনি।
এসব যাত্রী ছাউনি দখলে থাকা কয়েক জন ব্যবসায়ী বলেন,প্রক্রিয়া করেই যাত্রী ছাউনিতে ব্যবসা করছি। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
অন্যরাও বলেন,জেলা পরিষদের সাথে চুক্তি করেই তারা দখলে আছেন। তবে হাজিরহাট বাজারের একজন ব্যাবসায়ি বলেন ০৮ (আট) হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ব্যাবসা করছেন। কেবা কাহারা এই ভাড়া নিচ্ছে তা স্বীকার করেনি।
একজন বাস চালক বলেন, যাত্রীদেরকে রাস্তার পাশ থেকে গাড়িতে উঠাতে হয়। এতে করে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের রোধে দাঁড়িয়ে খুব কষ্ট পোহাতে হয়। যে কারনে যাত্রী ছাউনি করা হয়েছে সেটি কোন কাজেই আসছেনা। একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বললেও তারা কোন কথাই শুনছেন না।
স্থানীয় লোকজন বলেন,কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এসব যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছেন । যেখানে বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, সেখানে না করে যত্রতত্র পছন্দের লোকজনকে দিয়ে এসব ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে যাত্রীদের কল্যাণের জন্য। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা পেতেই মূলত যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দেখা গেছে, যেসব যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছে,সেগুলো যাত্রীদের কোনো কাজে আসছে না। কারণ যাত্রী-ছাউনিগুলো পরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হয়নি।
তাছাড়া সবকটিই চলছে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
তাই স্থানীয় জনগন এ সকল যাত্রী ছাঊনি গুলো দখল মুক্ত করতে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।