ঢাকারবিবার , ১৩ আগস্ট ২০২৩
আজকের সর্বশেষ খবর

সুন্দরগঞ্জে প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ না করেই বিল ভাউচার বানিয়ে টাকা উত্তোলন


আগস্ট ১৩, ২০২৩ ৮:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শহীদুল ইসলাম শহীদ,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৩৩ সরকারি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে বিশাল ঘাপলার তথ্য উঠে এসেছে। প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসের ৩০ তারিখে। এখনও শুরু করাই হয়নি কাজ।ফেরতও দেওয়া হয়নি টাকা। বরং সমূদয় টাকা উত্তোলন
করা হয়েছে বিল ভাউচার বানিয়ে।

তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আনোয়ারুল ইসলাম। যোগাযোগ করা হলে সহকারী শিক্ষা
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে আর কোনো তথ্য দেননি। এমনকি মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ফোন
ধরেননি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম।

তথ্যে জানা যায়,চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি
(পিইডিপি৪) এর আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এ উপজেলার ৩৩ সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে মাইনর মেরামত বাবদ ২ লক্ষ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাজ বাস্তবায়নের শেষ তারিখ ছিল গত ৩০ জুন। ১ মাস বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো শুরু
করা হয়নি কাজ। ফেরতও দেয়া হয়নি টাকা। বরং বিল ভাউচার বানিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে সমূদয় টাকা।

ধর্মপুর ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে মেরামতের
কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি। কথা হয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আজহারুল ইসলামের সাথে। ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘প্লান ও আবেদন এখনো
কিছুই করা হয়নি। বিষয়টি অনিয়ম সেটিও স্বীকার করেন এই প্রধান শিক্ষক।

বোয়ালি ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা মিলেনি প্রধান শিক মোঃ আনিছুর রহমানের সাথে। সহকারী শিক্ষকদের সহায়তায় মোবাইল নম্বর
সংগ্রহ করে ফোন দেওয়ার পর কথা হয় তার সাথে। চা খেতে বাহিরে আছেন তিনি।তার স্কুলে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আছে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টাকা বা চেক
চাচ্ছি। কিন্তু দিচ্ছেন না। না দিলে কিভাবে কাজ শুরু করবো। মাষ্টারদের তো আর অতিরিক্ত টাকা থাকে না যে সে টাকা দিয়ে কাজ করবো। চেক বা টাকা পেলেই কাজ শুরু করবেন বলেও জানান এই প্রধান শিক্ষক। কথা হয় বামনজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ দিনারা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, টাকা না পেলে কাজ করবো কিভাবে?।
তবে গত বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার এসে ছিলেন। আশা করছি সপ্তাহ খানেক পরে কাজ শুরু করতে পারবো।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা সভাপতি ও বোয়ালী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন,রেজুলেশন করে চাহিদা জমা দিয়েছি গত ২ আগস্ট। চেক পেলেই কাজ শুরু করবেন
তিনি। টাকা আছে নাকি ফেরত গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ফেরত যায়নি এখনো
টাকা আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ না করেও টাকা ফেরত যায়নি এর কারণ জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহেদুল ইসলাম।
কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩০ জুন। এখনো শুরুই করতে পারিনি। এটা চরম অনিয়ম বলেও স্বীকার করেন এ শিক্ষক নেতা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার ধারণা না দিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ- আলম বলেন, শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে দেখি। কেনো তারা কাজ করেননি। আর না করে থাকলে বরাদ্দকৃত অর্থই বা তারা কি করেছে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিষয় আছে কি না তা খোঁজ নিয়ে জানাবো।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।