সাহাব উদ্দীন (রাফেল) নিজস্ব প্রতিনিধি: রাস্তায় হাঁটতে কিংবা বাসস্ট্যান্ডে অথবা রেল স্টেশন লঞ্চ টার্মিনাল গেলে দেখা যায় কিছু টাকা দেন না ভাই ,সারাদিন থেকে কিছুই খাইনি। টাকার জন্য প্রতিদিন পিছু লেগে থাকে। এসব শিশুদেরকে আমরা সহজে পথ শিশু হিসেবে জানি।জীবন চলার পথে আমরা অনেক মানুষ দেখতে পাই। এখানে কেউ উচ্চবিত্ত, কেউ মধ্যবিত্ত, কেউবা আবার নিম্নবিত্ত। আর এই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকেই পথশিশুর জন্ম। আমাদের দেশের অলিতে-গলিতে অনেক পথশিশু আছে যাদের কারো বাবা নেই, কারো মা নেই কিংবা কারো পরিবারের কেউ অসুস্থ। আর এই পথশিশু গুলো তখন নিজেরাই পরিবারের বোঝা বহন করে।যে বয়সে আমরা ভাবতাম স্কুলে যেয়ে টিফিনে কি খাব, কার পাশে বসবো, স্যারের কোন হোমওয়ার্ক আছে কিনা। আর এই পথশিশুরা ভাবে রোজ সকালে কোন রাস্তায় ভিক্ষা করলে বেশি টাকা পাবে। ৫০/৬০ টাকা আমাদের একদিন মোবাইল খরচ যায় আর ওদের পরিবারের সবাই মিলে একবেলা খাওয়া হয়ে যায়। জীবন একটা, স্রষ্টা একটা অথচ কত পার্থক্য!জীবনের একদম শুরু থেকেই নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার এই শিশুদের একটি বড় অংশই বিপথগামী হয়ে যাওয়ার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটানো এদের নেই পরিবারের ছায়াটুকুও। নৈতিক শিক্ষার আলো থেকেও এরা অনেক দূরে। পথে হারিয়ে যাওয়া এই শিশু কিশোরদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়া অনেকটাই নিয়তির লিখনের মতো আমরা যদি একটু সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবি তবে পরিষ্কার হয়ে আসে তাদের জীবনের জটিলতা। নিজেদের জীবন অপেক্ষা অনেকটা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত এরা চুরি, ছিনতাই এবং ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত। আর ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ থেকে তারা নানা জিনিস সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য। অনেক শিশু নিজের অজান্তেই ভুগছে নানা রোগে।পথশিশুদের শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ মেয়ে। তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। পড়তে হয় বখাটেদের নজরে।পথ শিশুরা প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে না বলে আজ তাদের প্রতিভাগুলো চাপা পড়ে যায়। তাই কখনো এই সব ছোট পথ শিশুদের গায়ে হাত তুলবেন না, নাকে রুমাল দিয়ে তাদের কে তাড়িয়ে দিবেন না, তাদেরই সমবয়সী আমাদের ও ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে আছে। তাদের প্রতি আমাদের মানবিক চিন্তা থাকা উচিত। তারা আমাদের মুখের দিকে চেয়ে থাকে শুধুমাত্র দু’মুঠো ভাতের জন্য। তাদের জন্য কিছু করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।