টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জে পারিবারিকভাবে জমির বিরোধের সমাধানের সময় সেন্টু হাওলাদার (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ মে) রাতে টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। জমির ভাগ থেকে বঞ্চিত করতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার স্ত্রীর।
সেন্টু হাওলাদার উপজেলার পুরাবাজার এলাকার মজিবুর হাওলাদারের ছেলে। জমি নিয়ে বাবা, ভাইদের সঙ্গে বিরোধ থাকায় তিনি দুই মেয়ে নিয়ে উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের স্বরস্বতী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
নিহতের স্ত্রী রুজিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে তার আপন দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে অনেকদিন ধরে বিরোধ চলছে। তার জন্য আমার স্বামীকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে থাকি। গতকাল আমার চাচা শ্বশুর আমির হোসেন পারিবারিকভাবে জমির বিরোধের সমাধান করার কথা বলে পুরাবাজার ডেকে নিয়ে যায় তাকে।’
‘পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার শ্বশুর মজিবুর হাওলাদার ফোন করে জানান, সেন্টু অসুস্থ তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু কোন হাসপাতালে নিয়েছে জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন। পরে ১৫ মিনিট পর আবার ফোন দিয়ে বলেন সেন্টু মারা গেছে। দাফন করতে পুরা নিয়ে যাচ্ছি। ’
এদিকে রাত ১০টার দিকে পুরাবাজার যাওয়ার পথে সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ভাঙ্গা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী। অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তারা। এ সময় সেন্টুর বাবা মজিবুর হাওলাদার ও চাচা আমির হোসেন পালিয়ে যান। তবে সেন্টুর দুই ভাই শাহিন হাওলাদার ও রুবেল হাওলাদারকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এস এম ফেরদৌস হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি রাজিব খান বলেন, ‘এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি হার্ট অ্যাটাক করে তিনি মারা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের স্ত্রী রুজিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নিহতের দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করা হয়েছে।’