আপন সরদার, টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ): মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় রাস্তার পাশের পতিত জমিতে সিম চাষে লাভবান হচ্ছে চাষীরা। টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী থেকে বেতকার চাঙ্গুরী যাতায়াতের রাস্তার দুই পাশের প্রায় ২ কিলোমিটার যায়গা জুড়ে সিমের আবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকরা।
বকম বাড়ি ও দপ্তরী বাড়ির জাফর,আক্তার,সাইফুল,আবু তাহের সহ ২০-৩০ জন কৃষক রাস্তার পাশের পতিত জমিতে সিম,লাউ,কুমরা চাষ করে নিজেদের সবজির যোগান দিচ্ছেন। এছাড়াও উৎপাদিত সবজি গুলো বাজারে বিক্রি করে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন।
একজনের দেখাদেখি অন্যজন আগ্রহী হওয়ায় সেখানে সবজি চাষের পরিমান বাড়ছে। রাস্তার দুই পাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে একদিকে যেমন শত শত কৃষি পরিবার লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও মৌসুমি কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে। ফলে কিছুটা হলেও কমছে বেকারত্ব, বাড়ছে কৃষি আয়।
স্থানীয় কৃষক আবু তাহের জানান,রাস্তার পাশে খালি থাকা জমিতে আমরা সারা বছরেই সবজি চাষ করি। একেক সময় একেক সবজি চাষ করে আমরা সংসার চালাই ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার পিছনে খরচ করি আবার আত্বীয় স্বজনকেও দেই।
সেখানকার অধিকাংশ কৃষক আক্ষেপ করে জানান,প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আবাদযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর কৃষি উন্নয়নমূলক এ ঘোষণার বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেনা।
আরেক চাষি মজিদ দপ্তরী বলেন, আমি দির্ঘদিন বিদেশ ছিলাম। দেশে এসে রাস্তার পাশের জমিতে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লুব্বা, টমেটো, কাঁচা কলা লাগাইছি। রাস্তার পাশে আলো বাতাশ ভালো পাই নিজেরা খাই আত্বীয় স্বজনদের দেই আবার বিক্রিও করি ।এভাবে সংসার চলাইতেছি। রাস্তার পাশের উচু জমি হওয়ায় ক্ষেতি ভালো হয় আলো বাতাস ভালো পায়। নিচু জমিতে পানি উঠে যায় উচু রাস্তার পাশে পানি না ওঠায় একেক সময় একেক সবজি চাষ করা যায়।
ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা ওয়াহেদুর রহমান বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। তাদের যদি সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।