ঢাকার আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুর এলাকার জনরন সোয়েটার কারখানার বেতন ট্রিমিং ডিস্ট্রিবিউটর ইমরান ৫৩ জন শ্রমিকের বেতনের টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরে কারখানা কতৃপক্ষ থানায় মামলা করেন। এরপরে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি ইন্টেলিজেন্স) জামাল শিকদারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ইমরানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ই সেপ্টেম্বর) সকালে নগদ টাকা উদ্ধারসহ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি ইন্টেলিজেন্স) জামাল শিকদার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ই সেপ্টেম্বর) ওই কারখানার বেতন ট্রিমিং ডিস্ট্রিবিউটর ইমরান নগদ ৮লাখ ৭৮হাজার ৫০০টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত ইমরান রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুরপুর (দক্ষিণ উজানচর) গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ওই কারখানায় চাকুরী করতো।
মামলার এজহারসূত্রে জানা যায়, আমি মোঃ হাসান বসরি আশুলিয়া থানাধীন নিশ্চিন্তপুর এলাকার জনরন সোয়েটার কারখানায় একাউন্টস অফিসার হিসেবে নিয়োজিত আছি। বিবাদী ইমরান (৩৮) কারখানার ট্রিমিং ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলো। ০১-০৯-২০২২ তারিখ আমাদের কারখানার বেতন দেওয়ার দিন ধার্য ছিলো। পরে বিকাল ৫.৪৩মিনিটের সময় ট্রিমিং সেকশন ১২গেজ,বি ব্লকে ৫৩জন শ্রমিকের বেতন দেওয়ার জন্য একাউন্স সেকশন হইতে একাউন্স ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন বিবাদি ইমরানকে এক হাজার টাকার নোট ৭০০টি, ৫০০টাকার নোট ৩৩৭টি, একশ টাকার নোট ১০০টি সর্বমোট ৮লাখ ৭৮হাজার ৫০০টাকা বুঝাইয়া দেয়। উক্ত বিবাদি শ্রমিকদের বেতনের টাকা বুঝাইয়া না দিয়ে কৌঁশলে কারখানা থেকে পালিয়ে যায়। যাহার মামলা নং-১৫/৬৮৮।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি ইন্টেলিজেন্স) জামাল শিকদার ভোরের খবর’কে বলেন, ৫ই সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নান্দাইল এলাকায় ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে সে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে সে জেল-হাজতে আছে।