রাজধানীর কাকরাইল এসএ পরিবহন কুরিয়ারের প্রধান শাখায় বিভিন্ন পোষ্টে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুজন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ।
তাদের মধ্যে চট্রগ্রামের একজন রনি বিকাশ বড়ুয়া ও অপরজন হবিগঞ্জের সুব্রত পাল। জানা যায়, রাজধানীর আশুলিয়া এলাকার চারজন বেকার যুবক চাকরির জন্য সন্ধান করতে থাকলে রনি বিকাশ বড়ুয়া ও এসকে সঞ্জয় ওরফে সুব্রত পাল নামের ওই দুই প্রতারকের সাথে ঢাকার মতিঝিল এলাকায় পরিচয় হয় ।
এরপর একজনকে এসএ টিভিতে এবং অপর তিনজন হাবিব,সাঈদ ও জিহানকে এসএ পরিবহন কুরিয়ারে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারপর একের পর এক চাকরি না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে । বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ ও পরবর্তীতে প্রতারণা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতারক চক্রের দুজনই রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নিরীহ বেকারদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় ।
এর মধ্যে রনি বিকাশ বড়ুয়া ঢাকার মতিঝিল এলাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে চাকরি করে । তার গ্রামের বাড়ী, মধ্যম সৈয়দবাড়ী, রাঙ্গুনিয়া, চট্রগ্রামে । তার পিতা মৃত, কমলেন্দু বিকাশ বড়ুয়া ও মাতা দিপালী রানী ।
অপর প্রতারক এসকে সঞ্জয় ওরফে সুব্রত পাল নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিলেও তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি । তার গ্রামের বাড়ী যশের অব্দা, সদর উপজেলা হবিগঞ্জ । তার পিতার নাম সাধনা পাল ও মাতা প্রতিমা পাল । তবে হবিগঞ্জের তার নিজ এলাকা থেকেও বিভিন্ন অপরাধ করে দীর্ঘ আড়াই বছর বাড়িছাড়া রয়েছে । বর্তমান তার পরিবার সহ সিলেটের একটা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে । আর সুব্রত পাল ঢাকায় এসে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে এই দুই প্রতারক ও দেশের সনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া রনি বিকাশ বড়ুয়া ও সঞ্জয় ওরফে সুব্রত পালকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, এই দুই প্রতারকের কাছে প্রতারিত হয়েছে অনেক বেকার । তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।