ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা গ্রামে কম্বোডিয়া প্রবাসী মাহাবুব হোসেন হত্যাকাণ্ডের জেরে দীর্ঘ এক মাস ছয় দিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় তারা এলাকায় ফিরে আসেন এবং এখন স্বাভাবিকভাবে বসবাসের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য,গত ১৫ই নভেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালা গ্রামের প্রবাসী মাহাবুব খুন হন। ওই ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই উত্তেজিত পক্ষ প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। প্রাণভয়ে ওই দিনই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
রাজনৈতিক সদিচ্ছায় প্রত্যাবর্তন
বাড়ি ছাড়ার পর থেকে আশ্রয়ের জন্য তারা বিভিন্ন মহলে ধরনা দিচ্ছিলেন। দীর্ঘ ৩৬ দিন পর পদ্মাকর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিশেষ প্রচেষ্টায় তারা গ্রামে ফেরার সুযোগ পান। সোমবার (২২শে ডিসেম্বর) তারা দলবদ্ধভাবে নিজ নিজ ভিটায় ফিরে আসেন।
প্রশাসনের প্রতি আকুতি
দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে এসে তারা ধ্বংসস্তূপের চিত্র দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান:
”আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমরা এক মাসের বেশি সময় যাযাবর জীবন কাটিয়েছি। এখন যেন আমরা সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারি এবং আর কোনো হামলার শিকার না হই, সে বিষয়ে প্রশাসনের জোরদার সহযোগিতা কামনা করছি।”
স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান,এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতেই মানবিক কারণে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, তবে কোনো বিচারবহির্ভূত সহিংসতা কাম্য নয়।
বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

