স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বা সরকারের অন্য কোনো পদে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এবং কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাতেও অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি পদে থেকে নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ—এই নীতির ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। তফসিল ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম, যেমন—আসনবিন্যাস চূড়ান্তকরণ, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন প্রস্তুত করা, এবং বিভিন্ন নির্বাচনি নির্দেশনা নিয়ে প্রায় ২০টির মতো পরিপত্র জারি—এসব প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার পরপরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ সেল গঠনসহ সব ধরণের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ধাপে ধাপে কার্যকর হবে। এসব প্রস্তুতির উদ্দেশ্য হচ্ছে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনি পরিবেশকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু রাখা।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রাহমানেল মাছউদ বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ইসির সরাসরি দায়িত্ব নয়। তবে তফসিল ঘোষণার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আরও জানান, চূড়ান্ত পোস্টাল ব্যালটে নিষিদ্ধ বা স্থগিত দলের প্রতীক রাখা হবে না।
তিনি নিশ্চিত করেন যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) তফসিল ঘোষণার ভাষণ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার সন্ধ্যায় বা বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং ভোটারদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত—এসব বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

