ভোরের খবর ডেস্ক: সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় ও এসবিএ রিসার্চের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা হোয়াটসঅ্যাপে গুরুতর নিরাপত্তা দুর্বলতা আবিষ্কার করেছেন। তাদের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপের একটি ত্রুটির কারণে বিশ্বের প্রায় ৩৫০ কোটি ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ও প্রোফাইল ছবি ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি ছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব ইন্টারফেস ব্যবহার করে তারা প্রতি ঘণ্টায় কয়েক কোটি ফোন নম্বর সংগ্রহ করতে সক্ষম ছিলেন এবং প্রায় ৫৭ শতাংশ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এছাড়া ২৯ শতাংশ ব্যবহারকারীর চ্যাট সংক্রান্ত কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে।
যদিও মেটা জানিয়েছে যে ব্যক্তিগত বার্তা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ রয়েছে, তবুও মেটাডেটার মাধ্যমে গোপনীয়তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক গ্যাব্রিয়েল গেগেনহুবার বলেছেন, “অসাধারণ সংখ্যক অনুরোধের কারণে এই ত্রুটি ধরা পড়েছে।” আর গবেষক আলইওশা ইউডমায়ার জানিয়েছেন, মেটাডেটা বিশ্লেষণে গোপনীয়তার ঝুঁকি স্পষ্ট হয়েছে।
মেটা স্বীকার করেছে যে সিস্টেমে বাগ ছিল, যা এখন ঠিক করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহসভাপতি নীতীন গুপ্ত বলেন, বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে গবেষকদের সাহায্যে ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং অ্যান্টি-স্ক্র্যাপিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত বার্তা নিরাপদ রয়েছে। মেটা আরও জানিয়েছে, ফোন নম্বর ও প্রোফাইল ছবি মূলত সীমিত সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছেছে, তাই ‘ফাঁস’ শব্দটি পুরোপুরি সঠিক নয়।
তথ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিশেষত:
- ব্যক্তিগত তথ্য ও পরিচয় শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
- অজানা বা সন্দেহজনক লিঙ্ক ও বার্তা এড়িয়ে চলুন।
- হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা সেটিংস নিয়মিত পর্যালোচনা করুন।
- অ্যাপ আপডেট করে নিরাপত্তা প্যাচ সময়মতো গ্রহণ করুন।

