কেএম সবুজঃ ঢাকার সাভার বিশমাইল মহাসড়কের পাশের লোকাল সড়ক বিশমাইল টু জিরাবো। এখানে প্রতিনিয়ত চলাচল করে হাজার হাজার ব্যাটারী চালিত অবৈধ অটো-গাড়ি। গাড়িগুলো যেমন অবৈধ এর চালক হিসাবেও রয়েছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক,অযোগ্য সব ড্রাইভার। যা নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ম সচেতন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা রেঞ্জ এর ট্রাফিক পুলিশ। তেমনই একটি অভিনব ঘটনা ঘটলো আজ। সাভারের বিশমাইল মহাসড়কে ডিউটিরত ট্রাফিক এএসআই হুমায়ুন আহম্মেদ নিয়ম ভঙ্গ করার কারণে একটি ব্যাটারী চালিত অটো গাড়ি আটক করেন। এরপর তিনি সেটি ছেড়ে দিতে টাকা নয় বরং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে মেনে নিতে পারলেই ছেড়ে দেওয়া হবে তার গাড়ি। এমন শর্ততে সন্তুষ্টির সাথে মেনেও নেন অটো চালক মাইদুল ইসলাম।
বৃঃহস্প্রতিবার দুপুর ১২ টিার দিকে লোকাল সড়ক থেকে হাইওয়েতে প্রবেশের দায়ে আটক করা হয় ব্যাটারী চালিত অঠো গাড়িটি। এরপর বাংলাদেশ সড়ক আইন সম্পর্কে অবহিত এবং পরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের প্রতিশ্রুতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ট্রাফিক এ এস আই হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, অপরাধ থেকে বিরত ও আইন কানুন মেনে চলার একমাত্র হাতিয়ার হল নামাজ। নামাজ পড়লে যেমন সে নিজে অপরাধ থেকে দুরে থাকতে পারবে অন্যদিকে আমরাও একটু নিস্তার পাবো।
শাস্তি হিসাবে নামাজ প্রসঙ্গে অটো-চালক মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি স্যারের শাস্তি হিসাবে নামাজ পড়তে শর্ত দেওয়ার বিষয়টায় খুবই মুগ্ধ। আমি নিয়মিত নামাজ পড়ে স্যার সহ দেশবাসীর প্রতি দোয়া করবো। স্যারের এই শর্তটি আমি সবর্দ পালনের চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য, আটককৃত গাড়ি ছাড়তে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের শর্ত প্রসঙ্গে চারিদিকে প্রশসংসায় ভাসছেন এএস আই হুমায়ুন আহম্মেদ ।