রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অভিলম্বে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন দাবিতে তিস্তা নদীর দুই ধারে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন, গঙ্গাচড়া উপজেলা শাখা’র উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবি ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকার এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান সামু।জেলা যুবদল সভাপতি নাজমূল হক নাজু, এছাড়া উপস্থিত জেলা বিএনপি সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান মাবু,জেলা ছাত্রদল সভাপতি শরীফ নেওয়াজ জোহা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোকাররম হোসেন সুজন,উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ চাঁনমিয়া,উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ ও মিজানুর লুলু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহিন আলম সোনা,শ্রমিক দলের উপজেলা সভাপতি মজমুল হক মজনুসহ ইউনিয়ন ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান সামু বলেন,তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি উত্তরবঙ্গবাসীর বেঁচে থাকার প্রতীক। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষক, জেলে, দিনমজুর সবাই আজ দুঃখে-দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। সরকার যদি তিস্তা মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন না করে, তবে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি ও পরিবেশ ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তিনি আরও বলেন,তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুধু উন্নয়ন নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের ন্যায্য অধিকার। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হয়ে এই আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি চাঁদ সরকার বলেন, তিস্তা নদী আমাদের জীবন কাঠি। আমাদের সুখ – দু:খ সব কিছু এই তিস্তা নদীর সাথে সম্পর্কিত। তাই অভিলম্বে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানাই।তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন,তিস্তা আমাদের জীবনের অংশ। নদী না থাকলে কৃষি, ঘরবাড়ি ও জীবিকা সব ধ্বংস হয়ে যাবে। চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত তিস্তা মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে নদীভাঙন, বালু জমা আর কৃষি বিপর্যয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।কর্মসূচি শেষে মশাল হাতে পদযাত্রা করে অংশগ্রহণকারীরা মহিপুর এলাকায় তিস্তা নদীর দুই তীরে সমাবেশ করেন। সেখানে নদী রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তারা।