স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভাষা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে দেশজুড়ে। এমনকি বাংলাদেশের সরকার সংশ্লিষ্টরাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনটি ঢাকার নিজস্ব সংবাদদাতার বরাতে প্রকাশিত হয়। ঢাকায় আনন্দবাজারের প্রিন্ট ভার্সনে কাজ করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। আর ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করেন জিটিভির কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স সম্পাদক অঞ্জন রায়। রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা আসায় এই দুই প্রতিনিধি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তারা জানিয়েছেন এই প্রতিবেদন তারা লেখেননি। কুদ্দুস আফ্রাদ ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদও জানিয়েছেন।
নিজেদের ফেসবুক পেজে তারা এ বিষয়ে নিজস্ব ব্যাখ্যা দেন।
কুদ্দুস আফ্রাদ ব্যাখ্যায় লিখেন, আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে গত ২০শে জুনের একটি রিপোর্ট নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে ফেসবুকে। রিপোর্টটি ঢাকার ‘নিজস্ব সংবাদদাতা’র বরাতে প্রকাশিত হওয়ায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এ রিপোর্টটি আমার লেখা নয়। আমি নিজে এ রিপোর্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বলা বাহুল্য, রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যে ‘তলানীতে’ এবং ‘কুটনৈতিকদের উদ্বৃতি’ ব্যবহার-ই বলে দেয় রিপোর্টটি ঢাকা থেকে লেখা হয়নি। রিপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়ার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তি দুর করতে ব্যাখা দেয়া হল।
অঞ্জন রায় লেখেন, যে লেখা আমার নয়, তার দায় আমার ওপরে চাপাতে চাওয়াটা সত্যিই বেদনাদায়ক। অনেকে ভুল বুঝছেন, সে কারণেই স্পষ্ট করি। একটি কাগজের ডিজিটাল ও প্রিন্ট এডিশনে দুজনে কাজ করেন। রিপোর্ট পিক করার সময় প্রিন্ট এডিশনের অনেক কপিই অনলাইনে আপলোড করা হয়। আমি কাজ করি ডিজিটাল এডিশনে। আমার প্রকাশিত প্রতিটি লেখার ইউআরএল দিয়ে কপির সিরিয়াল নম্বর থাকে। এটিতে সেটি আছে কিনা সেটা দয়া করে দেখুন, দেখে আমাকে অভিযুক্ত করুন। সমালোচনা করুন, গালি দিন। আমি আবারো দায়িত্ব নিয়ে বলছি– আলোচিত চিন বিষয়ের লেখাটি আমার নয়।