ভোরের খবর ডেস্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাটা ধান পলিথিন দিয়ে ঢাকতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বু্ধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সু্লতান গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত চয়ন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদী শুকিয়ে চর জমেছে। সেখানে কৃষক জহুরুল ধান চাষ করেছিলেন। আজ সকালে পাকা ধান কেটে রাখেন। দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে পলিথিন নিয়ে সে ধান ঢাকতে যান জহুরুল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পাড়ে কৃষক জহুরুলের জরাজীর্ণ টিনশেডের ঘর। ঘরের ছোট্ট বারান্দায় রাখা মরদেহটি। মরদেহ এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন স্থানীয়। স্বজনরা করছেন আহাজারি।
এ সময় জহুরুলের ভাতিজা মুন্না শেখ বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিশাল শব্দ করে ডাক (বজ্রপাত) মারে। আর চাচা এক দিকে আর আমি একদিকে উল্টে পড়ি। পরে ছুটে এসে দেখি কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। শরীরের এক পাশ পুড়ে গেছে।’কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।