নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সাইমুন (১৬) নামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে খুন করা হয়েছে। একই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই শিমুল ঘাতকদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে । এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের পিতা সামছু উদ্দিন বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।পুলিশ মিলন নামে ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে ফুটবল খেলার মাঠে আলোকপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী ব্যাপারী বাড়ির এছহাক মিয়ার ছেলে মীর হোসেন (২০) সাথে একই গ্রামের বড়বাড়ির মো সামছু উদ্দিনের ছেলে শিমুলের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিমুল তার ছোটভাই সাইমুনকে নিয়ে সোনাইমুড়ী বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়, পথিমধ্যে এর জের ধরে পথিমধ্যে মীর হোসেন ১২/১৩ জন সন্ত্রাসী নিয়ে শিমুল (১৮)কে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে, এসময় বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা শিমুুলের ছোটভাই সাইমুনকে উপর্যুপরি ছুুুরিকাঘাত করে। তাদের আত্ম চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা শিমুল ও সাইমুনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সাইমুনকে মৃত ঘোষা করে এবং শিমুলের অবস্থা আসঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মীর হোসেনকে প্রধান আসামী করে নামীয় ৮ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সামাদ জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এহত্যা কান্ডের ঘটনা হয়েছে। নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা করেছে। মিলন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যান্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    