ঢাকামঙ্গলবার , ২৭ আগস্ট ২০২৪
আজকের সর্বশেষ খবর

ছেলেকে বাঁচাতে এক বাবার করুণ আকুতি


আগস্ট ২৭, ২০২৪ ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ভোরের খবর ডেস্ক:  আনোয়ার হোসেন। রাজধানীর মিরপুর-২ এর ষাটফিট রোডের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা। সৌদি আরবের প্রবাস জীবন শেষ করে বছর পাঁচেক আগে দেশে ফেরেন। হাড়ভাঙা খাটুনির উদ্দেশ্য তার দুই ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করা। প্রবাস জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ভালোই চলছিলেন। তার স্বপ্ন ছেলে দুটোকে যতদূর সম্ভব পড়ানো। সবকিছু মিলিয়ে সচ্ছলভাবেই চলছিল সংসার। তাছাড়া তার নিজস্ব একটি ফ্ল্যাটও ছিল মনিপুরে। কিন্তু হঠাৎ সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে তার বড় ছেলে আবরার সিদ্দিকের সিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ে। দীর্ঘদীন চিকিৎসাও চলে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এর মাঝেই শনাক্ত হয় কিডনির অসুখ।আবরার এইচএসসির ছাত্র । চলতে থাকে চিকিৎসা। এক পর্যায়ে জানা যায়, তার দুটো কিডনিই বিকল। রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরই মধ্যে আনোয়ার হোসেন সংসার, ধার-দেনা ও চিকিৎসা খরচ চালাতে বেকায়দায় পড়ে যান। উপায়ন্তর না দেখে বিক্রি করে দেন তার সমস্ত পুঁজি দিয়ে কেনা ফ্ল্যাটটি। সেটা টাকায় ঋণ পরিশোধ ও ছেলের চিকিৎসার পেছনে খরচ করতে থাকেন। এখন তিনি একরকম অর্থশুন্য হয়ে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে অন্যের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে তাকে।আনোয়ার হোসেন বলেন, কখনো ভাবিনি অন্যের কাছে আমার এভাবে সহযোগিতা চাইতে হবে। দীর্ঘদিন প্রবাসজীবনে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছি। সঞ্চয় করেছিলাম। স্বপ্ন ছিল ছেলে দুটোকে উচ্চশিক্ষিত করবো। কিন্তু কী থেকে যেন কী হয়ে গেল। ছেলেটার(আবরার) দুটো কিডনিই এখন বিকল। প্রতিমাসে ছয়-সাত বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। কখনো কখনো রক্তও দিতে হয়। কিছুদিন পর পর অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিতে হয়। আইসিইউতেও রাখতে হয়েছে বেশ কিছুদিন। এসব করতে গিয়ে আমি প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছি। না পারছি কাউকে বলতে, না পারছি কারো কাছে হাত পাততে। যে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছি সেখানে আর দুই মাস সময় দিয়েছে থাকার। কিন্তু এর পর কী হবে জানি না। এখন একটাই চিন্তা- ছেলেকে বাঁচাবো কী করে! এদিকে ধারদেনাও বাড়ছে। চিকিৎসক জানিয়েছে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে এখনও প্রায় ১০-১২ লাখ প্রয়োজন।ডাক্তার হতে চেয়েছিল আবরার। বড় হয়ে করতে চেয়েছিল মানুষের সেবা। কিন্তু তার সামনের সেই পথটা এখন যেন অন্ধকার। তার অসুস্থতার কারণে পড়াশোনাও বন্ধ। আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! ছেলেটা ডাক্তার হতে চেয়েছিল। অথচ সেই কিনা এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। আনোয়ার হোসেন দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার ছেলের চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়াতে।

সহযোগিতা পাঠাতে-

বিকাশ নং- 01624580923

আনোয়ার, হিসাব নং- 1181330074365, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, দারুসসালাম রোড ব্রাঞ্চ, মিরপুর-1, ঢাকা-1216.

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।