নিজস্ব প্রতিনিধি: ঋণ পরিশোধ সহজ করায় নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। এর মধ্যদিয়ে ভারত মালদ্বীপের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কে যে ভাটা পড়েছিল তা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে নয়াদিল্লির সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে রয়েছে মালে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, শুক্রবার মালদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের তথ্যানুসারে, মুইজ্জু তার ভাষণে তাদের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেন এবং ক্ষমতার আট মাসের ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ উদ্যাপন করেন। এসময় ঋণ পরিশোধ নীতি সহজ করায় ভারত এবং চীনের প্রশংসা করেন মুইজ্জু। ধারণা করা হচ্ছে এতে ভারতের সঙ্গে আবারো সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে হাঁটছে মুইজ্জু প্রশাসন। ডলারের স্থানীয় ঘাটতি দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে মুইজ্জু বলেছেন, মালদ্বীপ সরকার নয়াদিল্লি এবং বেইজিং উভয়ের সঙ্গেই মুদ্রা বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা জারি রেখেছে। তিনি আরও বলেন, তার প্রশাসন যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা করছে এবং ভারতের সঙ্গে অনুরূপ একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছে। ক্ষমতায় আসার পরপরই মালদ্বীপের ভেতর থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল তা নিরসনে সচেষ্ট হয়েছেন মুইজ্জু।গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
মালদ্বীপভিত্তিক দ্য এডিশনের তথ্যানুসারে, গত বছরের শেষ নাগাদ ভারতের কাছে মালদ্বীপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬.২ বিলিয়ন রুপিয়া (মালদ্বীপের স্থানীয় মুদ্রা)। এ বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মালদ্বীপকে সতর্ক করেছিল যে, দেশটি ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।মূলত এই সংকট মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে মুইজ্জু। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু তার নির্বাচনী প্রচারণায় ‘ভারত-বিরোধী’ বক্তৃতা করেছিলেন। সে সময় তিনি ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতির কথা প্রচার করেছিলেন। দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার ছিল মুইজ্জুর দলের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান এজেন্ডা।