ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : আবহাওয়া অধিদপ্তরের থেকে ঘোষণাকৃত ৯-১০ মহা বিপদসংকেত ঘূর্ণিঝড় রেমাল তীব্র ভয়ংকর রুপ ধারণ করছে। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের নানা মুখী সতর্কতা অবলম্বন, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে গুড়ি বৃষ্টি ও বাতাসের ভয়াবহতায় প্রায় সকল উপজেলায় গাছপালা,বাড়ীর ফসলের মাঠ, পশুপাখির খামার সহ নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের অবস্থা অত্যান্ত খারাপ হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবন কাটছে আতঙ্কে। সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বাতাসের সাথে অবিরাম বৃষ্টি। মেঘাচ্ছন্ন দিন রাত একাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জেলা জুড়ে ভয়ে চলছ মানুষের আত্মচিন্তা। অন্ধকারে পড়ে আছে মেঘনার কোল ছুঁয়ে সৃষ্টি হওয়া হাজারো মানুষ। তার মধ্যে শিশু বৃদ্ধ অসুস্থ রোগীদের আত্ম চিৎকার। সব মিলিয়ে সর্বকালের দীর্ঘ সময়ে লেগে থাকা ঘূর্ণিঝড় রেমাল তীব্রতা জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে অনেক বেশি। সারা দেশের মতো সূর্যের দেখা না মেলায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার মানুষগুলোর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। মেঘনার ভাঙ্গনের প্রভাবে তাদের কাঙ্খিত জীবন যাত্রার প্রথম বৈচিত্র্য খোঁজে পায়না এর মাঝে বছরের কয়েকবার বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলা করতে করতে জীবনের অধিক সময় পার করতে হয়।আজ ২৮ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে যদিও আকাশ কিছুটা মেঘলা বৃষ্টি এবং বাতাস না হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলছে এ জেলার কর্মমুখী মানুষগুলো।