মনোরঞ্জন রায় পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষক রাসেল প্রধান(৩৫)। কেঁচো সার উৎপাদনের কেঁচো সার উৎপাদিত রাসেল প্রধান এখন মাসে আয় করেন প্রায় ৩০-৩২ হাজার টাকা।সরোজমিনে দেখা যায়সম্প্রতি দেবীগঞ্জ উপজেলায় দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনা পোতা গ্রামের কৃষক রাসেল প্রধানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির বাহির আঙ্গিনায় দোচালা পলিথিনের ঘর। ঘরের নিচে সিমেন্টের তৈরি ৩৭টি রিং স্ল্যাব।রিং স্ল্যাবে গোবর মিশ্রণ করা হয়। সব রিং স্ল্যাবে ছেড়ে দেয়া হয় কেঁচো। তারপর চটের বস্তা দিয়ে রিং স্ল্যাব ঢেকে রাখা হয়।কৃষক( উদ্যোক্তা) রাসেল প্রধান বলেন প্রথমে রিং ও ঘর নির্মাণসহ মোট খরচ হয় প্রায় ৯ হাজার টাকা। পরে চাহিদা বেরে যাওয়ায় আরো ৫০ হাজার টাকা খরচা করে রিংস্ল্যাব তৈরি করেছি। এক মাসে উৎপাদন হয় ৩ টন কেঁচো সার। প্রতি কেজি সার ১২ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। উদ্যোক্তা রাসেল প্রধান এখন মাসে আয় ৩০-৩২ হাজার টাকা।
জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে পাওয়া ছয়টি রিং এবং বাকি রিংগুলো নির্জ খরচে ও ৩ হাজার কেঁচো দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করেন। এদিকে রাসেলের উৎপাদিত কেঁচো সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।স্থানীয় কৃষক ওদেবীডুব ইউনিয়নের সোনাপোতা এলাকার কৃষক মাহাবুব আলম জানান, রাসেল প্রধানের কেঁচো সার ফসলে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি। পাশাপাশি তার সমন্বিত কৃষি খামার আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে, তাতে ধানের চাষ করে লাভ হয় না।উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নাইম মোরেশদ বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী একটি সার। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি।