নিজস্ব প্রতিবেদনঃ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি জানালেও পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আহসান হাবিব বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবি জানান। এ ছাড়া বিএনপির অন্যতম নেতা হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা সংগঠনটির শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো বিষয় আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রে এমন কোনো দিকনির্দেশনা আছে বলে আমার জানা নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কোনো নিবন্ধিত দল বা জোটের সঙ্গে তারা অংশীদার হবেন না বলেও জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সংসদীয় নির্বাচন গনতন্ত্র সুরক্ষার একটি উপাদান। বাংলাদেশের সংবিধানের বাধ্যবাধকতায় প্রতি ৫ বছর পরপর সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করেন। ১১তম সংসদের মেয়াদ ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ সালে সমাপ্ত হবে। সংবিধানের বিধান অনুসারে, ২৯ জানুয়ারির পূর্বেই ১২তম সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতেই হবে। তা না হলে সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপিত হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব, অন্য কোনো উপায় সংবিধানে লিপিবদ্ধ নাই। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই বলেও জানান তারা।