

স্বপন রবি দাশ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাল্লা স্থলবন্দর প্রায় দুই বছর ধরে কার্যক্রমহীন অবস্থায় পড়ে আছে। প্রায় ৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্থাপনা নির্মাণের পরও এখনো সেখানে কোনো আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে সরকারি বিপুল অর্থের এ প্রকল্প এখন পরিণত হয়েছে গরু-ছাগলের গোচারণভূমিতে।স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের মার্চে বাল্লা স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয়।
১৩ একর জমিতে নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, ওয়্যারহাউস, ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড, ট্রাক পার্কিং ইয়ার্ড, ওপেন ইয়ার্ড ও ডরমিটরি।তবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়মুড়া অংশে এখনো কোনো স্থলবন্দর বা সড়ক অবকাঠামো নির্মিত হয়নি। ভারতের অংশ ঝোপঝাড়ে ঢেকে থাকায় সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশের অংশের স্থাপনাগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অযত্ন-অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চুনারুঘাট উপজেলা সদর থেকে আসামপাড়া পর্যন্ত সড়ক পাকা হলেও আসামপাড়া থেকে বাল্লা স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তা এখনো কাঁচা, যা যাতায়াতকে কঠিন করে তুলেছে। বন্দরের ভেতরে বর্তমানে কয়েকটি পরিবার বসবাস করছে; মাঠে গরু-বাছুর চরছে, শিশুরা খেলাধুলা করছে। পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র একজন আনসার সদস্য।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, “এই প্রকল্প রাজনৈতিক প্রভাব ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে।”
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, “বাংলাদেশের অংশে সব কাজ শেষ হলেও ভারতের অংশে কোনো অগ্রগতি নেই। ভারত আগ্রহ না দেখালে বাল্লা স্থলবন্দর চালু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।”সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় অংশে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বন্দরটি চালু করা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, সরকার দ্রুত এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক; না হলে কোটি টাকার স্থাপনাগুলো অচিরেই অকার্যকর হয়ে পড়বে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭