স্টাফ রিপোর্টার: ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ৭টার পর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের ফলে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেও শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানানো হয়। রাতভর চলা ওই বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা শরিফ ওসমান হাদির হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই সময় এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বিক্ষোভের রেশ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও। উত্তরা ও মিরপুরে সড়ক অবরোধের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়, যার ফলে ওইসব এলাকায়ও যান চলাচল ব্যাহত হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে কার্যালয়ের ভেতরে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় তাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটেও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এসব ঘটনার পর রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
রাজধানীর বাইরেও এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নেত্রকোনা, জামালপুর ও ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীরা শরিফ ওসমান হাদির হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।এ অবস্থায় আন্দোলনকারীরা শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।

