স্টাফ রিপোর্টার: বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন নারী সমাজকে আরও সচেতন, উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া তাঁর তীক্ষ্ণ লেখনীর মাধ্যমে সমাজে নারীর প্রতি চলমান অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত হেনেছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি নারীর স্বায়ত্ত্বশাসন ও আত্মমর্যাদাকে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান দিয়েছিলেন। এজন্য তিনি বিশ্বাস করতেন, নারীর উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি হলো উপযুক্ত শিক্ষা।
নারী সমাজকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে তিনি সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করেছিলেন। অসংখ্য কুসংস্কার ও বাধা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন অবিচল। মূলত নারীর প্রকৃত স্বাধীনতার কথাই ছিল বেগম রোকেয়ার চিন্তা ও কর্মের প্রাণকেন্দ্র। তার জীবন ও আদর্শ আজও নারী সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও তিনি ছিলেন তৎকালীন সমাজে এক সাহসী অগ্রদূত ও নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা। সমাজে নারীর পশ্চাৎপদতার বাস্তব চিত্র তিনি নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই উপলব্ধি করেছিলেন এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন—শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদার ভিত্তি।
তারেক রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার প্রসারকে একটি আলাদা মর্যাদা দিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে নারীর ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ উন্মুক্ত করেছেন। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মুসলিম নারী সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন পথিকৃত। নারীমুক্তির বাণী প্রচার করতে গিয়ে তাঁকে গোঁড়া রক্ষণশীলদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল, কিন্তু তিনি কর্তব্যে ছিলেন অটল, দৃঢ় ও আপসহীন।
অন্যদিকে, পৃথক এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। বেগম রোকেয়া ছিলেন এ দেশের নারী জাগরণের এক নিরলস পথপ্রদর্শক। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, শিক্ষাই নারী সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার একমাত্র কার্যকর মাধ্যম।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বেগম রোকেয়ার নারী স্বাধীনতার দর্শন গভীরভাবে অনুধাবন এবং তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই নারী সমাজ আলোকিত ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। তাঁর দেখানো পথ আজও নারীদের সামনে অগ্রযাত্রার দিকনির্দেশনা হয়ে আছে। এই দিনে আমি মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

