ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বোনের সম্পত্তির হক না দিয়ে ভাই একাই ভোগ করছেন এই মর্মে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি কার্যালয়। রোজ শনিবার ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি কার্যালয় বেলা দেড় ঘটিকার সময় এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী গান সাংবাদিক সম্মেলনে যা বলেন, যশোর সদর উপজেলার ২নং ইছা তমৌলী ইউনিয়ন পাঁচ বাড়িয়া গ্রামের মৃত সামসুর রহমান মন্ডলের ১ পুত্র শহিদুল ইসলাম মন্ডল ও ৪ কন্যা মনোয়ারা খাতুন, রওশনারা বেগম, জেবুন্নাহার, আমেনা বেগম কে মৃত বরুণ করেন। এস এ রেকর্ড বাবা সামসুর রহমান মন্ডল এর নামে থাকাকালীন ওয়ারেশ এক পুত্র চার কন্যা সন্তানের মধ্যে পুত্র শহিদুল ৪ বোনের জমি উভয়ই নিজ নিজ রেজিষ্ট্রেশন করে দেবে বলে প্রতারনা করে যশোর সদর সাবরেজিস্টার অফিসে নিয়ে যায়। দলিল লেখা শেষে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সাবরেজিস্টার নিকট যেতে বলেন।এক বোন না যেতে চাইলে সেই বোনের বাদ দিয়ে ৩ বোন কে ভুল বুঝিয়ে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে নেন।বোনদের জমি রেজিষ্ট্রেশন করে না দিয়ে চলে আসেন। তাৎক্ষণিকভাবে দলিল বাতিলের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন।
পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা থেকে চার বোনকে বঞ্চিত করে বাবার রেখে যাওয়া সমস্ত জমি একাই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাই শহিদুলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালত থেকে নিজেদের পক্ষে প্রাথমিক রায় (ডিক্রি) পেলেও এখনো জমির দখল ও হিস্যা বুঝে পাননি ভুক্তভোগী চার বোন। ঘটনাটি ঘটেছে কোতোয়ালি থানার পাঁচ বাড়িয়া গ্রামে।এলাকায়
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সামসুর রহমান মন্ডল এর মৃত্যুর পর তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন তাঁর এক ছেলে শহিদুল ইসলাম এবং চার মেয়ে। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তিতে ভাই ও বোন উভয়েরই হক রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বোনদের প্রাপ্য অংশ না দিয়ে এবং তাদের অগোচরে বাবার সমস্ত জমি নিজের নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জোরপূর্বক অন্যদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী বোনদের মধ্যে মামলা চলমান থাকাকালীন ৩ বোন মৃত্যু বরণ করেন।৩ বোনের ওয়ারেশ গন সহ একজন বোন জেবুন্নাহার জানান, “বাবা মারা যাওয়ার পর ভাই আমাদের কোনো জমি বুঝিয়ে দেননি। আমরা চাইতাম ভাই-বোনের সম্পর্ক ঠিক থাকুক, তাই প্রথমে সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু ভাই শহিদুল আমাদের কোনো কথাই শোনেননি, উল্টো আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে জমি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।”
কোনো উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী বোনেরা আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত চার বোনের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং তাদের প্রাপ্য জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এই রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শহিদুল এখনো জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। উল্টো তিনি পেশিশক্তি ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বোনদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শহিদুল কৌশলে জমিগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন, ফলে ক্রেতারাও এখন জমির মালিকানা দাবি করছেন। এমতাবস্থায় আদালতের রায় বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতের রায় থাকলে জমি বিক্রি অবৈধ বলে গণ্য হতে পারে এবং বোনেরা তাদের হিস্যা ফিরে পেতে প্রশাসনের সহায়তা নিতে পারেন।
বর্তমানে ভুক্তভোগী চার বোন চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা আদালতের রায় কার্যকর করতে এবং পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

