

স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসাধীন মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসার উদ্দেশে রওনা হন। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে তারা বাসার দিকে রওনা হন। এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তিনি গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ ত্যাগ করেন এবং সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান তারেক রহমান। হাসপাতালের গেটে সকাল থেকেই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করলে কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের সীমা ছিল না। দলের পতাকা ও ফেস্টুন হাতে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন, যদিও দলীয় পক্ষ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে তিনি বিশেষ একটি বাসে করে ৩০০ ফিটের উদ্দেশে রওনা দেন। রাস্তার দুই পাশে উপস্থিত দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা হাত নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। প্রায় ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মঞ্চে পৌঁছান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে ভিআইপি লাউঞ্জে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলিঙ্গন এবং কুশল বিনিময় করেন। তার শাশুড়ি তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে স্ত্রী জুবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
মোটের উপর, তারেক রহমানের দেশে আগমন এবং হাসপাতাল পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও উৎসাহের দেখা মিলেছে, যেখানে পরিবারিক উপস্থিতি ও দলীয় সমর্থন এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭