নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের একজন রিক্সা চালক ও তার পরিবারের কাছে এক লক্ষ্য টাকা দাবি করে আসছে একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মুন্সি ও বর্তমান কমিটির সভাপতি রাকিব।ভুক্তভোগী মো: রুবেল হোসেন এ নিয়ে গত কয়েক দিন আগে স্থানীয় যুবদল নেতা, উপজেলা যুবদলের সদস্য সিরাজ মিয়ার দ্বারস্থ হলেও কোনো ধরনের সমাধান না পাওয়ায় ভুক্তভোগী রুবেল ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে,
জানা যায় গত তিন আগে ভুক্তভোগী রুবেল এর বাড়ীর,ঢাকায় বসবাসকারী সম্পর্কে ভাতিজা হয়, এমন কয়েক জন মিলে গ্রামে এসে হাঁস খাওয়ার জন্য দুটো হাঁস কিনে ভুক্তভোগী রুবেল হোসেনকে দেয়, দিন মজুর রুবেল হোসেন ২০০ টাকার বিনিময়ে হাঁস গুলো জবাই করে পরিস্কার করে রান্নার উপযোগী করে দেয়।
এর বাহিরে রুবেল হোসেন আর কিছু না জানলেও হাঁসের মাংস খেয়ে সবাই যখন নিজের ঘরে চলে যায় ঠিক তখন ১৫/২০ জনের দল-বল নিয়ে প্রথমে পাশ্ববর্তী গ্রামের ফারুক মুন্সি ও পরে যোগ দেয় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব সহ সবাই মিলে ভুক্তভোগী রুবেল কে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ীর সামনে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
রুবেলের চিতকারে আশপাশের মানুষ বের হয়ে আসায় তারা রুবেল হোসেন কে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীধর পাড়া বাজারে নিয়ে সেখানে আবারো মারধর করে, ওই অবস্থায় রুবেলের গ্রামের যুবদল নেতা মোতাহার ও মানিক হোসেন সহ কয়েক জন লক্ষ্মীধর পাড়া বাজারে গেলে এক লক্ষ্য টাকার জামিনদার শর্তে মোতাহার ও মানিকের কাছে তারা ভুক্তভোগী রুবেল কে সোপর্দ করতে রাজি হয়।
ভুক্তভোগী রুবেল হোসেনের বাবা বেশ কয়েক বছর আগে মারা যায়, তার বৃদ্ধ মা আমাদের কে জানিয়েছেন, সেদিন রাতের পর থেকে প্রতিনিয়ত মানিক ও মোতাহার রা এক লক্ষ্য টাকার জন্য তাদের বাড়িতে আসতে থাকে।
এবং এক পর্যায়ে ফারুক মুন্সি ও রাকিব ফোনের মাধ্যমে এক লক্ষ্য টাকা দিতে ভুক্তভোগী রুবেল কে চাপ দিতে থাকে।এ সময় তারা হুমকি দিয়ে বলে,যদি টাকা না দেয় তাহলে রুবেল কে আবারো বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থক বলে পুলিশে সোপর্দ করবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ভুক্তভোগী রুবেল কখনোই আওয়ামীলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল না।সে একজন অটোরিকশা চালক, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে কখনো অটো চালিয়ে আবার কখনো অন্যের বাড়ীতে দিন মুজুর হিসেবে কাজ করে,এলাকায় একজন নিরীহ মানুষ হিসেবেই রুবেলের পরিচয়,এর বাহিরে আর কিছু না।
স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, আমাদের গ্রামে ডুকে এভাবে একজন নিরীহ ব্যক্তির উপর হামলা করে তার কাছে চাঁদা দাবী করা আমরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারিনা।বিষয়টি এতোটাই হৃদয় বিদারক যে, এ নিয়ে এখন গোটা ইউনিয়ন বাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠতে পারে।ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফারুক মুন্সি ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের লক্ষ্মীধর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বিএসসি ‘র অনুসারী ও একনিষ্ঠ কর্মী বলে ও জানা যায়।

