লতা মিয়া (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: স্থান ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি সময় সকাল ১১ টা তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২৫ রোজ বুধবার ।সাংবাদিক ভাইয়েরা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকতুহু আমি মোছাঃ নাছিমা খাতুন স্বামী মোঃ ফারুক মিয়া গ্রাম গোয়াল পাড়া উপজেলা জীবননগর জেলা চুয়াডাঙ্গা। নিরাপত্তার স্বার্থে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটিতে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের এই আয়োজন।বিগত ১৭ বছর পূর্বে মোঃ ফারুক হোসেন পিতা শহিদুল ইসলাম গ্রাম গোয়াল পাড়া উপজেলা জীবননগর জেলা চুয়াডাঙ্গা একই গ্রামে আমার বিবাহ। আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয় যার বয়স ১৫ বছর। বিবাহের পর থেকে আমার স্বামী যৌতুকের টাকার জন্য আমাকে খুবই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। আমাকে শুধু টাকা আনতে বলে।আমি আমার স্বামী কে দুই লক্ষ টাকা দেয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে।
আমার স্বামী খুবই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। তার ভয়ে কেহ মুখ খুলতে পারে না। এভাবেই চলতে থাকে সংসার শুধু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব সহ্য করে নিয়েছি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আমাকে টাকা আনতে বলে। আমি বারবার টাকা কোথা থেকে আনবো বললে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে পেটে বুকে লাথি ঘুষি কিল মেরে জখম করে। আমাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।চিকিৎসক শরীর চেক-আপ করার জন্য লিখে দেন।শরীর চেক-আপ করে একটু সুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে আমার স্বামী ফারুকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করি যার মামলা নম্বর ২৩২/২৫, মামলাটিট তদন্তে প্রমাণ হলে। আমার স্বামী আমাকে মামলা উঠিয়ে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
তাহার হুমকি থেকে বাঁচতে ও জীবন রক্ষা করতে আমি নানা সময় থানাতে গেলেও আসামীর প্রভাবের কারনে থানা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।আমার স্বামী আমাকে মামলা তুলতে হুমকি দিলে আমি মামলা তুলতে অস্বীকার করলে সে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে আমি যাহাতে মানুষের সামনে মুখ দেখাতে না পারি। তার জন্য গত ১৬ নভেম্বর রবিবার রাতে আমাকে একা পেয়ে বোতলে করে তরল জাতীয় কিছু এনে আমার শরীরে নিক্ষেপ করে। আমি সরে যেতে গেলে ইহা আমার শরীরের পেট ও বুক বরাবর লেগে আমার পরনের কাপড়ের ঐ অংশ ও পাশের অন্যান্য অংশ পুড়ে ঝলসে যায়। ভাগ্যক্রমে আমি সরে যাওয়ায় আমার মুখ পোড়া থেকে রঙ্গা পাই।
আমি দ্রুত হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে জীবননগর থানাতে গেলে থানা আবারো আসামীর প্রভাবে আমার মামলা গ্রহন করেনা। পরবর্তীতে আমি বিজ্ঞ এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে এসিড নিক্ষেপের মামলা দায়ের করি যার মামলা নম্বর পিটিশন -০১/২০২৫,। মামলার পর থেকে আসামী নিজেকে বাঁচাতে। বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ও আমাকে খুন জখম ও নানাবিধ ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমাকে আমার বাসাতেও যেতে দিচ্ছেনা। আমি আমার যৌতুক লোভী স্বামীকে এমন নির্যাতনের কারণে তালাক দিয়ে ছিলাম। সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পুনরায় আমাকে আর কোনদিন এভাবে নির্যাতন করবে না। সে কারনে সন্তানের কথা ভেবে পূনরায় তার সংসার করছিলাম। সে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করতেই এই এসিড নিক্ষেপ করে। আমি তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

