

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের সোনারপাড়া এলাকায় স্থাপিত এসপিএম প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অব্যবস্থাপনার কারণে স্থানীয় কৃষি ও মৎস্য খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রকল্পের বর্জ্য পানিতে চিংড়ী প্রজেক্টের মাছ মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।০২ নভেম্বর (রবিবার)সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের পাশ দিয়ে প্রবাহিত একটি ছরাতে নিয়মিতভাবে ফেলে যাচ্ছে দূষিত বর্জ্য, যা সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে আশপাশের ধান চাষের জমি ও মৎস্য প্রজেক্টের ঘেরে। প্রজেক্টের পানির উপরিভাগে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভাসছে। মৃত মাছের দুর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাতাসে ছড়ানো এই দুর্গন্ধ থেকে এলাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এবং শিশু-বৃদ্ধদের নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে প্রকল্পটির বর্জ্য পানি নিকটবর্তী পাহাড়ি একটি ছরার মাধ্যমে স্থানীয় কৃষিজমি ও চিংড়ী প্রজেক্টে প্রবেশ করে। এতে কৃষকদের ধান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি চিংড়ী প্রজেক্টের বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়। নিয়মিত প্রকল্পের বর্জ্য এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো সেই বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে, ফলে নতুন করে আবারও প্রজেক্টের মাছ মারা যাচ্ছে।ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ী প্রজেক্টের ইজারাদার আবদুল জব্বার জানান, “প্রকল্পের বর্জ্য পানির সাথে মিশিয়ে আমার প্রজেক্টের কয়েক লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে। এখনো প্রতিদিন নতুন করে মাছ ভেসে উঠতেছে। এতে আমি চরম ক্ষতির মুখে।”গত ৮ই অক্টোবর "দৈনিক আপন কন্ঠ" পত্রিকায় কালারমারছড়ায় এসপিএম প্রকল্পের বর্জ্য দূষণের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহেশখালী মহোদয়ের ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি খুদে বার্তার মাধ্যমে এসপিএম প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অবহিতকরণ সম্পর্কে জানানো হলেও, তা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি প্রকল্প কর্মকর্তারা।স্থানীয় জনগণ দ্রুত এসপিএম প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ছরা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিতে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭