স্টাফ রিপোর্টার: পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলসহ দুপক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা ও কর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে বুধবার ওই এলাকায় স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ ইকবাল হোসেনসহ দুইজনকে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক মক্কেল মৃধার লোকজন মারধরের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় পিস্তল হাতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে পিস্তল হাতে ব্যক্তি বিএনপির কর্মী। কিন্তু ফ্যাক্টচেক ও অনুসন্ধান করে পাওয়া যায় পিস্তল হাতে ওই ব্যক্তি ব্যক্তি জামায়াতেরই কর্মী। তার পাশেই কালো কটি গায়ে যে ব্যক্তিকে দেখা যায় তার পরিচয়ও শনাক্ত করা গেছে। তার নাম জাহিদ। সে শেখের দাড়ির সুলতান মাস্টারের ছেলে এবং তালেব মন্ডলের ঘনিষ্ঠ। অন্যদিকে , ছবির ওই ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেয় যায় জামায়াত শিবিরের টি শার্ট পরিহিত নেতাকর্মীরা তার সাথে রয়েছে। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, পিস্তল হাতে ওই ব্যক্তি বিএনপির নয়। বরং জামায়াতেরই একজন কর্মী।
ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে সমালোচনা করছেন সুশীল সমাজ। সচেতন মহল দাবি করেন কোন ভাবেই দেশে আর অস্ত্রের রাজনীতি আনতে দেওয়া যাবে না। অস্ত্রধারী যেই হোক চিহ্নিত করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

