কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।প্রকল্পের ঠিকাদারি ও মালামাল সরবরাহের কাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান খুলেছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা হওয়া এক অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেন্টাওশান কোম্পানির ছয়জন কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন। তাদের মধ্যে কোয়ান্টিটি অফিসার মোহাম্মদ আনিছ এবং অডিট কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস সুজনের নাম বিশেষভাবে নাম উঠে এসেছে।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, মোহাম্মদ আনিছ তার ঘনিষ্ঠজনের নামে ‘সততা এন্টারপ্রাইজ’ সহ একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নিচ্ছেন। বদরখালীর বাসিন্দা ইলিয়াছ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি প্রকল্পে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটটি তাদের কার্যক্রম আড়াল করতে আনছার নামে পেন্টাওশানের আরেক কর্মীকে ব্যবহার করছে, যার মাধ্যমে তারা বহিরাগতদের নিয়োগ ও ঠিকাদারি সমন্বয় করে। এর ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তা ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা প্রকল্পের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোয়ান্টিটি অফিসার মোহাম্মদ আনিছ বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। প্রমাণ থাকলে তখন তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে।অডিট কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস সুজন বলেন, অভিযোগ করলেই আমি দোষ স্বীকার করব না, আমাদের পরিচালনাকারীদের সাথে কথা বলুন।স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।