কক্সবাজার প্রতিনিধি:   সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্র প্রদর্শন করে আলোচনায় আসা মহেশখালী কালারমারছড়ার শীর্ষ ডাকাত মোহাম্মদ তারেক (২২) ও দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনার উত্তর-পশ্চিমে ষাইট্টা ঘোনা নামক চিংড়ি ঘেরের একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র, একটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক, আর দু’টি এলজি, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার অপর দুজন হলেনÑ তারেকের সহযোগী মোহাম্মদ ফারুক (১৯) ও সালাহউদ্দিন (২৬)।মঙ্গলবার দুপুরে থানায় সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, কালারমারছড়ার আলোচিত দুই সন্ত্রাসী আনছার ও তারেককে গ্রেপ্তার করতে দীর্ঘদিন নানা কৌশলে অভিযান চালিয়েছে মহেশখালী থানা পুলিশ। অস্ত্র প্রদর্শনকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী তারেককে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
শেষমেশ তাকেও আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হই আমরা।ওসি মঞ্জুরুল হক বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর থেকে কালারমারছড়া এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল স্থানীয় রসুর ছেলে মামুন, উকিল আহমেদ, নজির আহমেদ ও তারেক। তাদের সঙ্গে যোগ দেন আনছার ও বেশ কয়েকজন ডাকাত সর্দার এবং সন্ত্রাসী। উল্লিখিত পাঁচজনের ৪ জনই এখন আইনের আওতায় এসেছে। ক্রাইমজোন খ্যাত কালারমারছড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শিথিল রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টায় আছে।তিনি আরও বলেন, কালারমারছড়ায় পুলিশ ক্যাম্প (বিট পুলিশ) স্থাপন করেছি। সেখানে অপরাধ কর্মকাণ্ড রুখতে দিনরাত এক করে কাজ করছে পুলিশ। গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী তারেকের বিরুদ্ধে চারটি অস্ত্র মামলা ও একটি হত্যাসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে। তবে, তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পূর্বের কোনো মামলা নেই বলে জানান তিনি। কালারমারছড়ার লোকালয় ও পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া বাকি সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে তারেকের ভাই ডাকাত সর্দার উকিল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৫ মে কালারমারছড়ার ত্রাস ও সন্ত্রাসী তারেকের অপর ভাই মামুন শরীফ প্রাণ হারান দুর্বৃত্তের গুলিতে। মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলে মাথা চড়া দিয়ে উঠে রসুর অপর ছেলেরা। ছামিরা ঘোনার কালুর বাঁশডোয়া নামক স্থানে নিয়মিত ডাকাতি, ছিনতাই করতো তারা। এছাড়াও ডাকাতি ও চুরি ছিল তাদের প্রধান পেশা। রসুর ছেলেদের অত্যাচারে কালারমারছড়ার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে পুলিশ তৎপর হয় সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে।মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। তারেকের অপর দুই ভাইসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কালারমারছড়াসহ মহেশখালীর মাটিতে টিকতে পারবে না সন্ত্রাসীরা।

 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
 
                                    
 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                