কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের শৈলজানী গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিজাম উদ্দিন (৬০) এর বৈধভাবে ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলাম গং ও শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই পরিবারকে মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে হয়রানি করায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নিজাম উদ্দিন পৈতৃক সূত্রে ২৫ শতক জমি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে চাকরিজীবনের অবসরকালীন অর্থ দিয়ে তিনি তার সৎ ভাইয়ের কাছ থেকে আরও ৫৪ শতক জমি ক্রয় করেন। এর মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া মৌজার আরএস খতিয়ান নং ১০৩৬ ও ১১০২ এবং আরএস দাগ নং ১৩৮৯ ও ১৪৫৭ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জমির বৈধ দলিল ও রেকর্ড তার নামে বিদ্যমান।
ভুক্তভোগী জানান, প্রতিপক্ষ মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে নিজেদের মালিকানা দাবি করছে।ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দেবলা মিত্র সরেজমিন তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে উক্ত ভূমি নিজাম উদ্দিনের ভোগদখলীয়।নিজাম উদ্দিন আরও জানান, গত বছর থেকে জমিতে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। প্রতিনিয়ত তার পরিবারকেও ভয়ভীতি ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি আইনকে শ্রদ্ধা করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ মামলা দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
স্থানীয় দরবারে বিষয়টি একাধিকবার তোলা হলেও কোনো সমাধান আসেনি। স্থানীয় দরবারি মোহাম্মদ রমজান আলী বলেন, “এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। প্রায় পাঁচবার দরবার বসিয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।”
নিজাম উদ্দিন বলেন, “আমার নামে দলিল ও রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ জোর করে জমি দখল করে রেখেছে। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হিসেবে আইনকে সম্মান করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষের অত্যাচার, শারীরিক লাঞ্ছনা, গালিগালাজ ও মিথ্যা মামলায় আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।”অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন , তারা আদালতের মাধ্যমে নিজেদের জমি দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন।