ঢাকাশুক্রবার , ১ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ খবর

ঝিনাইদহ পৌরসভায় বেপারীপাড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। এলাকাবাসীর অভিযোগ জন প্রতিনিধিদের চরম দুর্নীতির ফলে এই জনদুর্ভোগ। 


আগস্ট ১, ২০২৫ ৭:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:    বাংলাদেশের একটি জন গুরুত্বপূর্ণ জেলা ঝিনাইদহ। এই জেলার একটি মডেল পৌরসভা ঝিনাইদহ পৌরসভা। এই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বেপারী পাড়ার অন্তর্গত। এই বেপারী পাড়াতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এটি শহরের প্রাণকেন্দ্র। এটি হলো ঝিনাইদহ ১২৫ নং মৌজা। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে এই বেপারি পাড়ার ২০ হাজার মানুষ চরম মানবতার জীবনযাপন করছে। ঘর থেকে বের হলেই পানি। প্রতিটা বাড়ি প্রথম তালায় পানি উঠে গিয়েছে। টিউবয়েলের খাবারের পানি খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে দূষিত পানির প্রভাবে ইতিমধ্যে আমশা এবং পেটের পিড়া শুরু হয়েছে অনেকের। পানির সমস্যার কারণে অনেক ছেলেমেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। পুরা ব্যাপারী পাড়ার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির ভিতরে অবস্থান করছে। এই প্রসঙ্গে পৌরসভার নেই কোন মাথাব্যথা।

বেপারী পাড়ার মানুষের চরম এই ভোগান্তির জন্য সাধারণ মানুষ দায়ী করছেন বিগত দিনের পৌর জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকারের চরম উদাসীনতা দুর্নীতি, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, এক ড্রেনের সাথে আরেক ড্রেনের সংযোগ না থাকা এবং পূর্বের যে পানি নিষ্কাশন খাল ছিল সে খাল গুলোর উপর মাটি ভরাট করে গৃহ নির্মাণ বলে এলাকাবাসী মনে করে। পাগলা কানাই বসবাসকারী আশরাফুল ইসলাম তার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, বেপারী পাড়ার সাধারণ জনগণ পৌরসভার ট্যাক্স খাজনা নিয়মিত উচ্চহারে পরিশোধ করলেও পাচ্ছে না পৌরসভার কাঙ্ক্ষিত সেবা।

সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফুল ইসলাম আসা মিয়ার বাড়ির ওখান থেকে শহীদ মিনারের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বেপারী পাড়ার মন্দির জোড়া পুকুর হয়ে মধ্য বেপারী পাড়ার ভিতর সিদ্দিকিয়া সড়ক দিয়ে শহীদ মশিউর রহমানের সড়কের দিয়ে একটি খাল ডিঙি মারার খালে পড়েছিল। এখন সেই খালটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। তারমধ্যে জোড়াপুকুরের পাগলা কানাই সড়কের ওখানে একটি কালভার্ট আছে সিদ্দিকিয়া সড়কে একটি কালভার্ট আছে। তবে শহীদ মশিউর রহমান সড়কে একটি কালভার্ট ছিল সেই কালভার্ট টা গত তিন চার বছর বন্ধ করে পৌরসভার জনপ্রতিনিধি প্রকৌশলী এদেরকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে গৃহ নির্মাণ করেছে কিছু ব্যক্তি।

এই ব্যক্তিগুলোর কারণে বেপারী পাড়া ডুবে যেতে বসেছে এবং মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌর কতৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিলেই এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।বেপারী পাড়ার সিদ্দিকিয়া সড়কে বসবাসকারী তাইজাল হোসেনের সাথে কথা বললে সে জানায় যে সিদ্দিকিয়া সড়কের এখান থেকে পানি বের হওয়ার জন্য একটি খাল ছিল যে খালটা পৌরসভার সাথে যোগ-স্বজন করে কিছু মানুষ গৃহ নির্মাণ করেছে তারা পানি যার খালটুকু আর রাখেনি এমনকি যাওয়ার রাস্তাও রাখেনি। যার কারণে সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি।

বেপারী পাড়ার আবু সাঈদের ছেলের সাথে কথা বললে সে বলে যে আমরা যখন এখানে জমি কিনি তখন এখানে খাল ছিল তবে তোফাজ্জল নাম করে এক ব্যক্তি এই খালের উপরে গোডাউন তৈরি করে। আমরা বললেও শোনেনা সে তখন আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে খাওয়ায় জোর করে এই খালের উপর গোডাউন তৈরি করে যার কারণে পানি বের হওয়ার কোন পথ নেই। উত্তর পাশে তোফাজ্জল এবং রাস্তার দক্ষিণ পাশে আমেরিকার রবিউল ভরাট করে দীর্ঘ নির্মাণ ও মার্কেট তৈরি করেছে। এই ব্যাপারে এলাকাবাসী ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা মানববন্ধন সহ আন্দোলন করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। যদি এই সমস্যার সমাধান না করে পৌর কর হোল্ডিং ট্যাক্স বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধু তার সাথে মোবাইলে কথা বললে সে বলেন যে একটি খাল ছিল যাহা দিয়ে পানি বের হতো যার সংযোগ ছিল ডিঙ্গি মারা খালের সাথে। সেই খালগুলো বন্ধ করে বিভিন্ন বাড়ি তৈরি হওয়ার ফলে এখন আর পানি বাহির হচ্ছে না যার কারনে জলবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সে আরো বলেন সিএস রেকর্ড ম্যাপে এই এই নকশাগুলো পাওয়া যায় তবে এসে রেকর্ড ও আর এস রেকর্ড এই খাল ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হয় যার কারণে যাদের জমি ছিল তারা সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছে। এর আগে জেলা প্রশাসক ডিঙ্গিমারা খাল উদ্ধারের উদ্যোগ নিলেও রেকর্ড হয়ে যাওয়ার জন্য সে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। পানি বের হওয়ার জায়গা না রেখে বাড়ি করার অনুমতি আপনারা কিভাবে দিয়েছেন জানতে চাইলে সে বলে যে সাবেক পৌর চেয়ারম্যানরা অনুমতি দিলে আমি কাউন্সিলর আমার কিছুই করার থাকে না। তিনি আরো বলেন যে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে সে ট্রেনগুলোর একটার সাথে একটা সংযোগ না থাকায় পানি বাহির হচ্ছে না। বেপারী পাড়ার সিদ্দিকিয়া সড়কে আর একটা ড্রেন নির্মাণ করে শাপলা চত্বরের ড্রেনের সাথে সংযোগ দিতে পারলে বেপারী পাড়ার পানি বের হয়ে যাবে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।