ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: গাজীপুরে গত ৭ই আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে । উক্ত ঘটনা সহ সারাদেশের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে যার প্রেক্ষিতে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সাগর রুনি হত্যাকান্ড সহ সমস্ত হত্যাকারীদের দ্রুত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝিনাইদহে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রোজ শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে এ মানববন্ধনে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির সভাপতি মোঃ সাহিদুল এনাম পল্লবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবির, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মাহমুদ, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি শাহ নুর আলম, সাংবাদিকদের দাবী দেওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আসাদুল ইসলাম আসাদ, সামাজিক আন্দোলনের নেতা রেল আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিল ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মিশুক হাসান, তথ্য প্রকাশিত সম্পাদক আবুল হাসান, নির্বাহী সদস্য বাবলু মিয়া জসীমউদ্দীন , কালিগঞ্জ প্রেস ইউনিটি শাখার সভাপতি রাকিব হাসান ও আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিল সিনিয়র সাংবাদিক কামরুজ্জামান পিন্টু, ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি সদস্য এনামুল খন্দকার, মোঃ লতা মিয়া, শাহীন রেজা, আকাশ আহমেদ, ঝিনাইদহ জেলার রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লালন মন্ডল, সাংবাদিক ক্লাবের তরিকুল ইসলাম তারেক, আব্দুস সালাম সহ দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি শাহিন রেজা সহ গণমাধ্যম কর্মী গন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুরে আসাদুজ্জামান তুহিনকে সড়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পুলিশ ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে এবং এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এখনো অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। একই দিনে গাজীপুরে আনোয়ার নামে আরো একজন সাংবাদিককে হামলা করে মাথা থেতলে দেয়া হয়েছে তাদের কেউ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। তারা আরও বলেন, দেশে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলা, মামলা, হুমকি ও হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা বন্ধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন তৈরি করে সাংবাদিকদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে।