শাকিল শেখ (আশুলিয়া) প্রতিনিধি: শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান খান মোহনের অনুসারী এবং আশুলিয়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো: পিয়ার আলীর ছেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী মো: দেলোয়ার হোসেন মিন্টু এর বিরুদ্ধে ডিইপিজেড এর এক কর্মকর্তাকে চাঁদার দাবীতে তুলে নেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।কর্মকর্তা আশিক হাসান (৩০) ডিইপিজেডের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সুইফট লজিস্টিক সার্ভিস লিমিটেড চাকরী করেন। পরে কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার ধভাদাইল এলাকার পিয়ার আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন মিন্টু (৩৫), ২। জীম (৩১), পিতা-সার্জেন্ট (অবঃ) সেলিম, সাং ভাদাইল, ৩। শাহজাহান সুমন (৪৫), (সিএনএফ-রুয়া ইন্টারন্যাশনাল), পিতা-সিরাজুল ইসলাম, সাং-ভাদাইল, ৪। রাশেদ আহাম্মেদ টুটুল (৩৩), (সিএনএফ-ওশিন এন্টারপ্রাইজ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ৫। ফরহাদ হোসেন (৩৮), (সিএনএফ-নুর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ৬। দেলোয়ার হোসেন (৫৮), (সিএনএফ-এমএম ট্রেডার্স), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-পল্লিবিদ্যুৎ, ৭। রুবেল হাসান (৩৮), (সিএনএফ-রুমা ইন্টারন্যাশনাল), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ৮। মোঃ মেহেদী হাসান (২৭), (সিএনএফ-নাজ এন্টারপ্রাইজ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ৯। আজিজ (২৯), (সিএনএফ-আলাউদ্দিন এন্টারপ্রাইজ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-শ্রীপুর, ১০। নাঈম (২২), পিতা-সামছুল হক, সাং-ভাদাইল, ১১। সীমান্ত (২৪), (সিএনএফ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-বাইপাইল পশ্চিমপাড়া, ১২। শাখাওয়াত (৪০), (সিএনএফ-লিমা এন্টারপ্রাইজ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-কাইচাবাড়ী, ১৩। জাকিউল হাসান (২৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ১৪। কামরুল (৪৯), (সিএনএফ-এমএম ট্রেডার্স), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ১৫। আল আমিন (২৭), পিতা-শামছু, সাং-ভাদাইল, ১৬। আরিফ ওরফে গলাকাটা আরিফ (২৭), পিতা-আব্দুল কাদের, সাং-ভাদাইল, ১৭। আলমগীর (৩০), পিতা-মোঃ সাদেক, সাং-ভাদাইল, ১৮। সোহান (২৫), (সিএনএফ-নাজ ইন্টারন্যাশনাল), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ১৯। মুরাদ (৩০), (সিএনএফ-এমআর লজিস্টিক), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, । ২০। তাওহিদ (২১), (সিএনএফ-ফিউশন ইন্টারন্যাশনাল), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ২১। চঞ্চল (২৬), (সিএনএফ-ওাশন এন্টারপ্রাইজ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ২২। বেলাল (২৭), (সিএনএফ-কালকিনি আলমগীর (২৮), (সিএনএফ-রিগাল ট্রেড), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-কমার্শিয়াল), পিতা-অড্যাত, সাং-ভাদাইল, ২৩। আলমী ২০১১ ভাদাইল, ২৪। রাসেল (৩১), (সিএনএফ-শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-পল্লীবিদ্যুৎ, ২৫। শাহাদাত হোসেন (৩০), (সিএনএফ-মোনালিসা লিঃ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ২৬। তরিকুল (৩৮), (সিএনএফ-পাইওনিয়ার এ্যাপারেলস), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-সাভার ডিওএইচএস, ২৭। রাসেল ফরাজি (২৩), (সিএনএফ-রুমা ইন্টারন্যাশনাল), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভাদাইল, ২৮। শিমুল (৩৩), (সিএনএফ-রয়েল ট্রেড), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-জিরানী, ২৯। শরীফ (২৬), (সিএনএফ-ভিস্তা কার্গো), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-কুরগাঁও, ৩০। ফিরোজ (২৪), (সিএনএফ-নূর ট্রেড), সাং-ভাদাইল, ৩১। আজাদ মিয়া (৩০), (সিএনএফ-গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ), সাং-বাইপাইল পশ্চিমপাড়া, ৩২। সমিরন (৪০), (সিএনএফ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-পলাশবাড়ী, সর্ব থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে টাইপকৃত অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি আশুলিয়া থানাধীন গনকবাড়ীস্থ সুইফট্ লজিস্টিক সার্ভিসেস লিঃ এ সিএনএফ হিসাবে কর্মরত আছি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালনা করিতে হইলে উল্লেখিত ১, ৩, ৪, ৬, ৮ ও ৯নং বিবাদীগণদের আমার প্রতি মাসে ৩,০০,০০০/-টাকা চাঁদা দিতে হইবে মর্মে দাবী করিয়া আসিতেছিল। আমি বিবাদীদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় বিবাদীগণ আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি সহ ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ইং-৩১/০৭/২০২৫ তারিখ বেলা অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় আমি আশুলিয়া থানাধীন গনকবাড়ীস্থ পুরাতন ইপিজেড কাস্টম এ্যাসোসিয়েশন ভবনের নিচ তলায় ট্যাক্সের টাকা গণনা করার সময় ১নং বিবাদী দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর নির্দেশে উল্লেখিত ২ হইতে ৩২নং বিবাদীগণ সহ তাহাদের সহেযাগী অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন বিবাদী লাঠি-সোটা, লোহার রড, জিআইপ পাইপ, রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া গনকবাড়ীস্থ পুরাতন ইপিজেড কাস্টম এ্যাসোসিয়েশন ভবনের নিচ তলায় অবৈধ ভাবে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমাকে বলে দেলোয়ার হোসেন মিন্টু ভাই তোকে দেখা করিতে বলিয়াছে। আমি অফিসিয়াল কাজ শেষে দেখা করিতে চাইলে উল্লেখিত বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এরপর বিবাদীগণ আমাকে জোর পূর্বক টানা হেচড়া করিয়া কাস্টমস ভবন হইতে রাস্তায় বাহির করিয়া অটোরিক্সা যোগে আশুলিয়া থানাধীন ভাদাইল গ্রামস্থ ১নং বিবাদী দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর অফিসে নিয়া যায়। ১নং বিবাদী দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর উপস্থিতিতে অন্যান্য বিবাদীগণ আমাকে উক্ত অফিসে অবৈধ ভাবে আটক রাখিয়া ৩, ৪, ৫, ৮, ৯ ও ১৬নং বিবাদীগণ আমাকে হুমকি দিয়া বলে তাহাদেরকে প্রতি মাসে ৩,০০,০০০/-টাকা চাঁদা দিতে হইবে। চাঁদা না দিলে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করিতে দিবে না। আমি প্রতিবাদ করায় ১নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগণ আমাকে পুনরায় এলোপাথারী মারপিট এর এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিনে দুপুরে ডিইপিজেডের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে যায় ২৫-৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। গত ৩১ শে জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে ডিইপিজেড এলাকায় এ ঘটনার ঘটে। ডিইপিজেডের নিরাপত্তার মধ্যেও এই ঘটনায় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আশিক হাসান আশুলিয়া থানায় মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মিন্টুকে প্রধান আসামি করে মোট ৩২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং – ০২ তারিখ- ০২-০৮-২৫ ইং। দেলোয়ার হোসেন মিন্টু আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার মোহাম্মদ পিয়ার আলীর ছেলে। জানা গেছে দেলোয়ার হোসেন মিন্টু স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মী এবং আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। ভুক্তভোগী মোঃ আশিক হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো কিন্তু আমরা কোনভাবেই চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩১শে জুলাই দুপুর ১.৩০ মিনিটের সময় মেহেদী, রাশেদু ইসলাম টুটুল, আজিজ, ফরহাদ, গলাকাটা আরিফ, নাঈম জাকিউল, জিম সহ ২৫-৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আমার উপর হামলা চালায় এবং আমাকে জোরপূর্বক ডিইপিজেড এর ভেতর থেকে তুলে নিয়ে ভাদাইল এলাকায় দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত মিন্টু সহ তার সহযোগীরা আমাকে কয়েক ঘন্টা আটকে রেখে লোহার রড ও জি আই পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এ সময় আমার কাছে থাকা প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্সের ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
এব্যাপারে বেপজার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা সশস্ত্র না থাকায় শুধু লাঠি দিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। আমরা দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিরাপত্তা বৃদ্ধি সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আশুলিয়া থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষী যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে দিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭