আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ আহমেদাবাদে ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার মাত্র চার দিন পর ১১২ জন পাইলট হঠাৎ করেই অসুস্থতার ছুটি নেন। ওই দুর্ঘটনায় ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়, বিমানটি মাঝ আকাশে ইঞ্জিন থ্রাস্ট (বেগ) হারিয়ে হোস্টেল ভবনের উপর আছড়ে পড়ে যায়, যা বিমানবন্দরের সীমানা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভারতের জুনিয়র বিমান পরিবহন মন্ত্রী মুরলীধর মোহল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) লোকসভায় বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ওইদিন ৫১ কমান্ডার ও ৬১ ফ্লাইট অফিসার ছুটির আবেদন করেন। বিষয়টি পাইলটদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও পরিচালনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
মন্ত্রী আরও জানান, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব এয়ারলাইনকে ‘দ্রুত এবং কার্যকরভাবে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের’ নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।এর পাশাপাশি পাইলট এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের জন্য ‘স্বতন্ত্র ও কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণ’ এবং পিয়ার সাপোর্ট গ্রুপ গঠনের নির্দেশনাও দেয়া হয়, যাতে মানসিক সমস্যার চিহ্নিতকরণ ও মোকাবিলা সহজ হয়।এদিকে, ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এয়ার ইন্ডিয়াকে ৪টি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। অভিযোগ, তারা পাইলটদের প্রশিক্ষণ ও বিশ্রাম সংক্রান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা ভঙ্গ করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব বিষয় তারা আগেই স্বেচ্ছায় জানিয়েছিল এবং তারা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নোটিশের জবাব দেবে। এয়ারলাইনসের মূখপাত্র বলেন,‘আমরা আমাদের ক্রু ও যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে অটুট রয়েছি।’ তবে উল্লেখযোগ্য হলো, গত ছয় মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:হংকং-দিল্লি ফ্লাইটে অবতরণের পর এপিইউ-তে আগুন।কোচি-মুম্বাই ফ্লাইট রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে ইঞ্জিন কভারে ক্ষতি।দিল্লি-কলকাতা ফ্লাইটের টেক-অফ শেষ মুহূর্তে বাতিল।দিল্লি-মুম্বাই ফ্লাইটের টেক-অফ স্ক্রিনে গতি না দেখানোয় বাতিল।