স্টাফ রিপোার্টার: বগুড়ার সোনাতলায় বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ বাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত প্রায় ৩০০ মিটার প্লাস্টিক পাইপ এবং জব্দ করা হয়েছে ৪টি ড্রেজার মেশিন।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বিশ্বনাথপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সারিয়াকান্দি ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আরাফাত, এবং সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী।সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চর বিশ্বনাথপুর এলাকায় বাঙালি নদীর তীরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। উত্তোলিত বালু নদীর পাশেই স্তুপ করে রাখা হতো এবং সেখান থেকে ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টরের মাধ্যমে তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছিল। এর ফলে নদীভাঙনের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী অভিযানে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন: মধুপুর ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে মোস্তাফিজার রহমান (৪২), একই গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৩৫), গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাজিতনগর গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে তনু মিয়া (১৮), সোনাতলার চর বিশ্বনাথপুর গ্রামের ফরিদ আকন্দের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (২৮), একই গ্রামের দবির হোসেনের ছেলে শাহ আলম (৪৫), গাবতলী উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে আব্দুল মমিন (২২), গাইবান্ধার সাঘাটার কামারপাড়া গ্রামের অক্ষব আলীর ছেলে মোন্তেজার রহমান (৪০)।
পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে এবং নদী ও পরিবেশ রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করা হবে।