কেএম সবুজ: ২০২২ সালের ২২শে আগষ্ট পাবনা জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এরপর দলের নেতাকর্মীদেরকে জাগ্রত করতে সব সময় দায়িত্বের সাথে কাজ করেছেন জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার। কিন্তু বিভিন্ন উপজেলা কমিটির করার সময়ে প্রশ্ন ওঠে এই আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে। পাবনা জেলা বিএনপির কমিটির বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ গণমাধ্যমে এর আগে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন লক্ষ করা গেছে। তবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বে পালনে সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার পিছপা না হলেও তাকে দলের পক্ষ থেকে সঠিক ভাবে মূল্যায়ন না করার গুঞ্জন ও সোনা যাচ্ছে।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকা পাবনা-৩ আসনে মৌখিক ভাবে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার একটি খবর ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে মাসুদ খন্দকারের নিজ এলাকায় পাবনা-৩ আসনে হলেও তাকে বাদ রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে মৌখিক ভাবে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। এরপর গত ০৪ জুলাই শুক্রবার কেন্দ্রীয় সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রথম গণসংযোগ করেন তিনি।
পরেরদিন ০৫জুলাই শনিবারেই চোখে পড়লো জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকারের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস। পোস্টে লেখা ছিল , আমি চিৎকার করে কাদিতে চাহিয়া, করিতে পারিনি চিৎকার।স্ট্যাটাস দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি । তারপর কমেন্ট বক্সে দেখা মেলে আলোচনা-সমালোচনার ঝর।
বিষয়টি জানতে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্ট্যাটাসটি আমার একান্তই ব্যক্তিগত। যে যেভাবে নিবেন সেভাবেই হবে। রাজনৈতিক কোন ইস্যু কেন্দ্রীক বা নিজের ব্যক্তিগত কোন কারণে এমন স্ট্যাটাস কিনা ! এমন প্রশ্নের ও জট খোলেনি তার কাছে থেকে। তিনি জানান, আপনারা রাজনৈতিক ইস্যু সহ অনেক কিছুই জানেন। এর মধ্যে আপনি যেভাবে ভেবে নিবেন সেভাবেই হবে আমার কোন মন্তব্য নেই।
উল্লেখ্য , দলের পক্ষ থেকে আসন বন্টনের মৌখিক চূড়ান্তের পরেই জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বলেও অনেকেই নিশ্চিত করেছেন। তবে পাবনা জেলায় বিএনপি ও এর অন্তর্ভুক্ত উপজেলা কমিটি গুলোতে অসন্তোষ রেখেই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা অযৌক্তিক বলেও দাবি রাজনীতিবীদদের।