রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে একই পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহত মো. জাকিরুল গনি (৪২) গঙ্গাচড়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২৮ জুন সকাল ১০টার দিকে তাঁর গৃহপালিত ছাগল প্রতিবেশী মো. আওলাদ হোসেনের (৪২) বাড়িতে ঢুকে পড়লে ছাগলটিকে মারধর করে আহত করেন আওলাদ। এ সময় জাকিরুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত আওলাদসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকেও এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
এরপর ২৯ জুন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে জাকিরুল গনি বাড়ির সামনে আওলাদ হোসেনকে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মো. মুশফিকুর রহমান (২৪), মো. শাহ আলম (৫৫), মো. আওলাদ হোসেন (৪২), মো. আউয়াল হোসেন (৪৫), মো. সাকিব্বর রহমান (২০), এবং শিউলি বেগম (৩৫) দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁর উপর হামলা চালান।
জাকিরুল জানান, তাঁর মাথায় লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করা হয়, মুখে মারাত্মক চোট পেয়ে একটি দাঁত নড়ে যায়। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম, স্ত্রী রেহেনা বেগম, ছেলে রাসেল মিয়া ও ভাতিজা রিফাত গনিও হামলার শিকার হন। নারী সদস্যদের উপর চুল টানা, লাথি-ঘুষি এবং শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগও ওঠে।
এছাড়া হামলাকারীরা তাঁদের বাড়ির টিনের বেড়া ও টাটি ভাঙচুর করে প্রায় ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে বলে অভিযোগে বলা হয়। আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে জাকিরুল গনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
অভিযোগকারী জানান, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেন এবং সুযোগ পেলেই বসতভিটা থেকে উৎখাত করবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল এমরান জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।